|
একটি টিভি সাক্ষাত্কারে জেট লি নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথা বলেন। তিনি বলেন, গত শতাব্দীর ৭০ দশকে তিনি চীনের পক্ষ থেকে ৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল সফর করেন। এসময়ে যে অভিজ্ঞতাটি তাঁর মনে গভীর রেখাপাত তা হলো, অধিকাংশ বিদেশীর কাছে চীন যেন কেবল একটি 'চাইনিজ কংফু' দেশ। তখন থেকেই আমি ভাবছিলাম, চীনে কংফু ছাড়া কি আর কিছুই নেই? জেট লি অব্যাহতভাবে এই প্রশ্ন নিয়ে গবেষণা করছেন এবং অবশেষে একটি উত্তর পেয়েছেন। উত্তর হলো কংফু চীনের বিশাল ও সুগভীর উশুর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। উশুর বিষয়বস্তু কংফুর তুলনায় আরো ব্যাপক। তিনি আরো বলেন, চীনা ভাষায় 'উ' এই শব্দ লেখার সময় 'চি' এবং 'কে' এ দুটো শব্দ নিয়ে যুক্ত করা হয়। চীনা ভাষায় 'চি' মানে বন্ধ এবং 'কে' মানে সশস্ত্র। তাই বলা যায়, উশু চর্চার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো সশস্ত্র হওয়া বন্ধ করা এবং ইউনিভার্সাল বা সার্বজনীন প্রেম ছড়িয়ে দেয়া। মনে মনে এমন একটি ধারনা নিয়েই জেট লি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সত্যিকার উশুর মর্ম বিশ্ববাসীর কাছে জনপ্রিয় করতে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের আলোছায়া অনুষ্ঠান এখানেই প্রায় শেষ হলো। এখানে একটি ঘোষণা আরও একবার করতে চাই। শ্রোতাবন্ধু, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে প্রতি মাসে যারা আলোছায়া অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শুনেন এবং আমাকে ই-মেইল বা চিঠি লিখে অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনার সুচিন্তিত মতামত এবং উপলব্ধি জানান, এদের মধ্য থেকে প্রতিমাসে একজন উত্সাহী শ্রোতা নির্বাচন করা হবে এবং তার জন্য বাংলা বিভাগ এবং আমার পক্ষ থেকে থাকছে আকর্ষণীয় একটি উপহার।
আমি আপনাদের চিঠি বা ই-মেইল অপেক্ষায় রইলাম। আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে আবার কথা হবে। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। এখন শুনুন আমার সহকর্মী সাইদুর রহমান লিপনের পরিবেশিত আলোছায়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |