বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার গ্লোবাল রেডিও লিসানার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আশরাফুল ইসলাম তাঁর রচনায় লিখেছেন, ১৯৮০ সালে প্রথম রেডিও পিকিং এর বাংলা অনুষ্ঠান শুনতে শুরু করি। চীন আপ্তর্জাতিক বেতারের সাথে আমার এই দীর্ঘ পথচলায় অনেক মধুর স্থতি জড়িয়ে রয়েছে। আমার দীর্ঘ শ্রোতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এটুকুই বলতে পারি, শ্রোতাদের প্রতি সিআরআই'র ভালবাসা ও আন্তরিকতা অনেক বেশি। ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৯ আমার সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান শোনার বয়স আগামী বছর ৩০ এ পদার্পন করবে। এই দীর্ঘদিন সিআরআই'র সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি নিজেকে খুবই গর্বিত একজন মানুষ বলে মনে করছি। কারণ এই সুদীর্ঘ সময় কাল আমি সিআরআই থেকে অনেক কিছু জেনেছি, শিখতে পেরেছি, আমার জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধশালী করেছি। আজ এই নিবন্ধ লেখার মাধ্যমে আমি বাংলা বিভাগের সকল নবীন ও প্রবীন বন্ধুদেরকে আমার আন্তরিক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই। কামনা করি বাংলা বিভাগের আরো ব্যাপক সাফল্য। ধণ্যবাদ। তিনি আমাদের পুরানো বন্ধু। তিনি সিআরআই'র বাংলা বিভাগকে অনেক জানেন। তিনি তাঁর রচনায় আরো বেশি কথা লিখেছেন। যেমন তিনি আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান উন্নয়নের প্রক্রিয়া, প্রফেসর লি ইউয়ানশানকে স্মারক এবং তিনি আমাদের প্রতিযোগিতার পুরস্কার লাভ করা সম্পর্কে অনেক কথা লিখেছেন। কিন্তু আপনারা মাফ করবেন, আমরা শ্রোতাদের পুরো চিঠি বলার সময় যথেষ্ঠ না। সেজন্য আমরা মাত্র কয়েক সুন্দর অংশ বলবো।
ভারতের পশ্চিম বাঙ্গার বালুর্ঘাট জেলার বিনীতা সানিয়াল তাঁর রচনায় লিখেছেন, 'বলছি আসে নিজের কথা, আসছি পরে তোমার ফিড়ে, আমি এক ছোট খুকী শোতা, চিনবে কি আমায়, অনেকেএর ভিড়ে। হ্যাঁ আমি সিআরআই'র সবচেয়ে খুদে শ্রোতাদের একজন। বয়স আমার পাঁ পেরিয়ে ছয়ে পড়েছে। আমি প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে আমার জ্ঞান ও স্থতি খুবই সীমিত। তবে যেহেতু সিআরআই'র বাংলা বিভাগকে ভালবাসি তাই তার ভালবাসার কথা লিখা কঠিন নয়। আমি প্রতিদিন বাবার সাথে সিআরাই'র বাংলা অনুষ্ঠান শুনি। বাবার মাধ্যমে রেড়ি ও তে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠানের সাথে আমার পরিচয়। বাংলা ভাষা উচ্চারণগুলো আমার খুব ভালো লাগে। বাবার কাছে শুনেছি সিআরআইর'র বাংলা বিভাগের বেশির ভাগই চীনা ভাষার মানুষ। বাবার কাছে শুনেছি যারা বাংলা বিভাগে চিঠি লেখে, প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় তারা সুন্দর প্রাইজ পায়। আর এ কথা শুনে ভাবলাম আমিই বা বসে থাকি কেন? লিখে ফেলি সিআরআই'র বাংলা বিভাগকে ভালবাসার কথা। পড়াশুনার কারণে সন্ধ্যার প্রথম অধিবেশন আমাকে শুনতে দেয় না। আমি শুনি রাতের দ্বিতীয় অধিবেশন। চীনকে সঠিকভাবে জানতে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান শোনা খুব জরুরী ও সহগ মাধ্যমে। সিআরআই'র বাংলা বিভাগের মাধ্যমে ডি এক্সিং জসতে হোক আমার শুভে পদচারনা। ৪০তম বার্ষিকীতে তুলনা বিহীন এই বেতারের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, সুনাম ও সুখ্যাতি কামনা করি।'