
মৃত্যুর মর্মকথা উপলব্ধির পর তিনি স্বভাবত:ই জীবনের অর্থ উপলব্ধির চেষ্টা করেছেন। তিনি তাঁর উপন্যাসে লিখেছেন: "কেমন করে দিন কাটাব এখন তা নিয়ে ভাবতে হবে । তার উত্তর মুহুর্তের মধ্যে পাওয়া যায় না। বোধহয় যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তা নিয়ে ভাবতে হবে।এ প্রশ্ন যেন আমার জীবনসঙ্গিনী এবং রাতদিন আমার পাশে থাকা অরূপ দৈত্য। তাই ১৫ বছর কেটে গেলেও মাঝেমধ্যে সেই পুরানো উদ্যানে যেতে হবে ,সেই পুরনো গাছের তলায় বা ভাঙ্গা দেয়ালের পাশে বসে নিরবে ভাবতে হবে এবং নিজের আত্মা অবলোকন করতে হবে ।
এ কথা যদি বলা যায় যে, তিথান উদ্যান জীবন ও মৃত্যুর মর্মকথা বুঝতে সি তিয়ে সেংকে সাহায্য করেছে তবে এ কথাও বলতে হবে যে, বন্ধুবান্ধব ও আপনজন এবং তিথান পার্কের অপরিচিত পর্যটক তাঁকে তাদের জীবনের তাত্পর্যময় স্নিগ্ধতার রসের অংশীদার হতে দিয়েছেন।দৃঢ়চিত্তা মা'র সংগ পেয়ে তিনি অস্তিত্বের অর্থ বুঝেছেন , বসন্ত,গ্রীষ্ম, শরত ও শীতকালে পার্কে বেড়াতে আসা দম্পতির সংস্পর্শে তিনি প্রেমের মধুরতার স্বাদ পেয়েছেন, সংগীতচর্চারত তরুণ-তরুণদের সংগে কুশল বিনিময়ে তিনি স্নেহ-মমতার পরিচয় পেয়েছেন। তাই তিনি বলেছেন,এ পুরানো উদ্যানের সংগী হয়ে আমি সর্বদাই নিজের ভাগ্যের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি।
1 2 3 4 5