গত ২ জুলাই সকালে বাংলাদেশের সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব ঢাকায় 'আমাদের পাঠশালা' নামক একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে বিনোদনমূলক শিক্ষা উপকরণ বিতরণে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আমার সহকর্মী, সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের প্রতিনিধি ইয়াং ওয়েই মিং ও মহিউদ্দিন তাহেরও সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পঞ্চাশ জনেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও তাদের অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের পর ইয়াং ওয়েই মিং এই স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, ব্যবস্থাপক ও শিক্ষিকার সাক্ষাত্কার নেন। বন্ধুরা, এখন আপনারা ছাত্রছাত্রীদের গাওয়া বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শুনছেন। শিশুদের কণ্ঠে গাওয়া গানে এক বিশেষ আকর্ষণীয় শক্তি আছে। তাই না? সিআরআই-সাইথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের সদস্য শাহাদুর রহমান ইউসুফ এ স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদেরকে জানান। বন্ধুরা, এ স্কুলের শিক্ষকের সংখ্যা কম হলেও শিশুরা এখানে বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ নানা বিষয় নিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পায়। আপনারা শুনুন ছাত্ররা ইংরেজি ভাষা কেমন শিখেছে? আমি যদি আমার আশেপাশের শহরবাসী বন্ধুকে বলি, ১৫ বছর বয়সী একজন ছাত্রী স্কুলের শিক্ষিকা হতে পারেন, অনেকে হয়ত বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু বাংলাদেশের এ স্কুলের শিক্ষিকা মুশফিকা সুলতানা শায়লা তাই করছেন। বয়স কম হলেও তিনি বড় কাজ করছেন। আমি জানি না, মুশফিকা সুলতানা শায়লা কীভাবে তাঁর ছাত্রছাত্রীদের পড়ান। কারণ এর আগে তিনি কখনো শিক্ষাদান সম্পর্কে কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। তবে তিনি সাহস ও ধৈর্য নিয়ে নিজের সময় ব্যয় করে শিশুদের পড়াচ্ছেন। শুধু এর জন্য আমি তাঁর পুরো পরিবারকে শ্রদ্ধা জানানি। তাঁর এক ছাত্র ইয়াং ওয়েই মিংয়ের সঙ্গে যে আলাপ করেছে, তা শুনে আমিও মুগ্ধ হয়ে যাই। কারণ শিশুর মুখ থেকে যখন বলা হয়, 'আমি দেশকে ভালোবাসি', আমার মনে হয়, সে কথা তখন ভীষণ মধুর হয়ে ওঠে। (ইয়ু / এসআর)