Web bengali.cri.cn   
চীনের লোকসংগীতের সুরকার আবিং
  2015-07-21 20:59:35  cri

শ্রোতা, 'দুটি ঝরনায় চাঁদের ছায়া' কেবল চীনের লোকসংগীতের বাদ্যযন্ত্র দিয়েই বাজানো যায় তা নয়। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র দিয়েও এই সুরটি বাজানো যায়। এখন আপনারা শুনছেন চীনের বিখ্যাত বেহালা বাদক ইয়ু লি না'র বাজানো 'দুটি ঝরনায় চাঁদের ছায়া' সুরটি। অন্য বাদ্যযন্ত্র দিয়ে বাজানো এ সুর শুনে ভিন্ন অনুভূতি হয় মনের গভীরে। এ বেদনাদায়ক ও অর্থবহুল সুরের মধ্য দিয়ে জীবনের প্রতি সুরকার আবিংয়ের ভালোবাসা ও স্বপ্নের প্রকাশ ঘটেছে। জীবন অসাধারণ হয়ে উঠেছে তার সুরের মূর্চ্ছনায়।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাও ছেং তোং বিংশ শতাব্দীর ৫০'র দশকের প্রথম দিকে শাংহাইয়ে এরহু দিয়ে বাজানো 'দুটি ঝরনায় চাঁদের ছায়া' শোনার পর বলেন, 'এ সুরটিতে গভীর লোকসংগীতের ভাব আছে। খুব ভালো। এ সুর ব্যাপক প্রচার করা উচিত।'

সাবেক প্রধানমন্ত্রী চৌ আন লাইও এ সুর খুব পছন্দ করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এ সুরের ডিস্ক প্রকাশ করার আদেশ দেন এবং মূল্যবান উপহার হিসেবে আন্তর্জাতিক বন্ধুদের এই ডিস্কটি তিনি উপহার দেন। ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পশ্চিমা সবচেয়ে জনপ্রিয় দশটি সংগীত নির্বাচনে 'দুটি ঝরনায় চাঁদের ছায়া' শীর্ষ স্থানে ছিলো।

বিশ্ব বিখ্যাত জাপানী বাদ্যযন্ত্র পরিচালক ওজাওয়া সেইজি ১৯৭৮ সালে পেইচিংয়ে চীনের কেন্দ্রীয় সংগীত ইনস্টিটিউটের ১৭ বছর বয়সী ছাত্রী মিন হুই ফেনের বাজানো 'দুটি ঝরনায় চাঁদের ছায়া' সুরটি শোনেন। এই সুর শোনার পর তার চোখ দুটো সজল হয়ে উঠে। তিনি বলেন, 'সৃষ্টার মাধুর্য্য এত প্রবল যে এ ধরণের সংগীত হাঁটু গেড়ে বসে শোনা উচিত। এ সুর শুনে মনে হয় অন্ত্র-ও ভেঙ্গে গেছে।'

সেই বছর ৭ সেপ্টেম্বর জাপানের 'আসাহি সিনবুন' নামক একটি পত্রিকায়  পেইচিং থেকে পাঠানো 'ওজাওয়া সেইজির অশ্রু' নামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তারপর 'দুটি ঝরনায় চাঁদের ছায়া' বিশ্ব সংগীত মহলের ভূয়সী প্রশংসা পায় এবং সুনাম অর্জিন করে। বন্ধুরা, এখন শুনুন মিন হুই ফেনের বাজানো 'দুটি ঝরনায় চাঁদের ছায়া' সুরটি।

বহু প্রতিভার অধিকারী সুরকার আবিং চমত্কার সব সুর তৈরি করতে পারতেন। তার বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কৌশলও অতি চমত্কার। তিনি পিপাকে মাথার ওপর রেখে বাজাতে পারতেন। তাছাড়া এরহু দিয়ে পুরুষ, নারী, বৃদ্ধ ও বাচ্চাদের কথোপকথন, দীর্ঘনিঃশ্বাস, হাসি, মুরগি ও কুকুরের ডাক অনুকরণ করতে পারতেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী সেনাবাহিনী উসি দখল করার পর সুরকার আবিং 'পাইন গাছের ধ্বনি শুনো' নামে একটি সুর সৃষ্টি করেন। এ সুরে সোং রাজবংশের মহান দেশপ্রেমিক জেনারেল ইয়ুন ফেইর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। সুরে পাইন গাছের দ্বারা জাতীয় বীর ইয়ুন ফেই'র ইস্পাতের মতো শক্ত ও শত্রুকে পরাজিত করার চেতনার প্রশংসা করা হয়েছে। পুরো সুরটিকে প্রবল শক্তিশালী এবং শ্রেষ্ঠ একটি সংগীত কর্ম বলা যায়। বন্ধুরা, শুনুন 'পাইন গাছের ধ্বনি শুনো' সুরটি।

1 2 3
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040