আরগুনা ব্যান্ডের সংগীত আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, আমরা অনেক উচু এবং দূরের বিষয়ের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের আশেপাশের এবং মাটির আবেগপূর্ণ জীবনকে অবহেলা করছি।
এই ব্যান্ডটি লোকসংগীত ও পপ সংগীত মিলে দর্শক ও শ্রোতাদের মঙ্গোলিয় জাতির অতি মধুর সব গান উপহার দিচ্ছে। বন্ধুরা, এবার শুনুন 'মোনি পাহাড়' নামের একটি শ্রুতিমধুর গান।
এ গানে বলা হয়েছে, 'বাতাস সবুজ ঘাসের ওপর ভাসছে। মোনি পাহাড় আমাদের চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। উচ্চ পাহাড়টি মেঘের ওপর চলে যায়। এটি আমাদের নিরাপত্তা দেয়। উরিথু নদীর সুমিষ্টি পানি নীরবে পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে যায়। এ পানি দিয়ে আমরা স্বদেশে জলসেচ করি।'
আরগুনা ব্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মঙ্গোলিয় জাতির সংগীত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বাইরে এসে চীনে তরুণ কণ্ঠশিল্পীদের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রথমবারের মত দর্শকদের দৃষ্টিতে চলে আসে। ২০১০ সালের বসন্ত উত্সবে এ ব্যান্ড ভিয়েনার সোনালী হলে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং বিভিন্ন দেশের জনগণের মনে মঙ্গোলিয় জাতির সংগীতের স্বপ্ন দেখায়। তখন থেকে তাদের গান টেলিভিশন, বেতার ও ইন্টারনেটে ধাপে ধাপে আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এবার শুনুন এ ব্যান্ডের আরেকটি গান। গানের নাম 'ঘোড়ার মাথা আকৃতির বাদ্যযন্ত্র দিয়ে বাজানো প্রেমের গান'।
আরগুনা ব্যান্ড হচ্ছে চীনের মূলভূখন্ডের সংগীত মহলে এক অতুলনীয় গান পরিবেশনকারী দল। তাদের গান শুনে আমরা গভীর শান্ত্বনা পাই। এ অনুষ্ঠানের শেষে শুনুন তাদের গাওয়া 'অতীতের সময়' নামের সুমিষ্ট গানটি।
এ গানে বলা হয়েছে, 'যদিও আমরা খুব গরীব, আমাদের গায়ে পুরনো পোশাক। তবে আমাদের প্রাণে রয়েছে আনন্দ। জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিন আমরা ব্যস্ত আছি। কিন্তু যখন অতীতের কথা স্মরণ করি, তখন চোখের সামনে আলো ঝলেস ওঠে। সে পুরোনো দিনের স্মৃতি হচ্ছে জীবনে সবচেয়ে সুন্দর সম্পদ। যদিও আমাদের জীবন বদলে গেছে, তবু জীবনের প্রতি আমার প্রত্যাশা এখনো হারায়নি। এখন কেবল রাত হলেও আমি পুরোনো দিনে ফিরে যেতে চাই, সেই আমার অতীত সময়ে।'
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এতোক্ষণ চীনের আরগুনা ব্যান্ডের কয়েকটি গান শুনলেন। গানগুলো আপনাদের কেমন লেগেছে? ভালো লাগলে জানাবেন।
বন্ধুরা, এ সময়ের সুরের ধারা আসর এ পর্যন্তই। আমি বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন। আবার কথা হবে। (ইয়ু/মান্না)
| ||||