উন্নয়নের আরো বেশি সুযোগ খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে শেনচেন বণিক সমিতির চেয়ারম্যান চাং সি মিন ২০১৩ সালের জুন মাসে ১০০ জন শিল্পপতিকে নিয়ে চাংচৌ শহরে যান। এ সফরের সুফল হিসেবে চাংচৌ আর শেনচেনের মধ্যে ২৪টি প্রকল্প-সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেগুলোতে অর্থের সংশ্লিষ্টতা ৩৪.৬ বিলিয়ন ইউয়ান।

চাং সি মিন বলেন, "হোনান হচ্ছে চীনা জাতির জন্মস্থান। বলা যায়, প্রতি দশ জন চীনার মধ্যে কমপক্ষে একজন হচ্ছে হোনানবাসী। হোনানের সঙ্গে আমাদের প্রত্যেক পরিবারের কোনো না কোনো সম্পর্ক রয়েছে। এখন অনেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করছে। তারা দূরদর্শী।"

ফক্সকন আন্তর্জাতিক কোম্পানি হচ্ছে চাংচৌ বিমানবন্দরের পরীক্ষা-অঞ্চলে আসা প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেটা বিশ্বসেরা ৫০০ শিল্পের একটি। এ কোম্পানির চাংচৌ অঞ্চলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা চেন হুই লোং সংবাদদাতাকে বলেন, "আমরা আসার সময় এ এলাকায় কেবল কুল বাগান ছিল। ১৮ মাসের মধ্যে আমরা অতি দ্রুতই পণ্য উত্পাদন করেছি। এখন আপেলের ৮০ শতাংশ স্মাটফোন এখানে উত্পাদিত হয়। যেহেতু ১৮ মাসের মধ্যে আমরা এক বিস্ময় সৃষ্টি করেছি, সেহেতু স্থানীয় সরকারের কাজের দক্ষতা আর সেবার মনোভাবের ওপর আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এ ক্ষেত্রে এখানকার সঙ্গে অন্য প্রদেশ বা শহরকে তুলনা করা যায় না।"

এখন ফক্সকনের প্রতিনিধিত্বশীল আধুনিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চাংচৌ বিমানবন্দরের জন্য বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান যুগিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিমানবন্দরে কর্মীর সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার, যাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ হচ্ছে হোনানবাসী। এ অঞ্চলের স্থায়ী জনসংখ্যা আগেকার এক লাখ থেকে বেড়ে এখন ৪ লাখ হয়েছে। কৃষকদের বার্ষিক মাথাপিছু নিট আয় হয়েছে ১৩ হাজার ৮৫ ইউয়ান, যা ২০১০ সালের চেয়ে প্রায় চল্লিশ শতাংশ বেশি।

চাংচৌ বিমানবন্দরের নিকটবর্তী সিয়াও লাও ইং গ্রামের কৃষক মেং লিয়ান জুন সংবাদদাতাকে বলেন, গত কয়েক বছর এখানে যে পরিবর্তন হয়েছে, তা তারা ভাবতেও পারেন নি। তিনি বলেন, "প্রথম দিকে বিমান কম ছিল, চার-পাঁচ ঘন্টায় মাত্র একটি বিমান আসতো। তখন সবার কৌতুহল ছিল। এখন পর পর বিমান আসে। আমরা এখানে থাকতে অনেক বিমান দেখেছি, বিমানের বহু আওয়াজ শুনেছি।"