|
হাজার বছর ধরে মানুষ ও ঘোড়ার পায়ে চলা এ পুরনো রাস্তা এঁকেবেঁকে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে এবং এটি গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা আপনাদের নিয়ে চায়ের সুগন্ধ জড়ানো হাজার বছরের ঐতিহাসিক প্রাচীন চা-অশ্ব পথের রহস্য অনুসন্ধান করবো।
সিছুয়ান-তিব্বত প্রাচীন চা-অশ্ব পথ থাং রাজবংশ আমলে চালু হয়। এর পূর্ব অংশ সিছুয়ান প্রদেশের ইয়াআন জেলা থেকে শুরু হয়েছে এবং খাংতিং অতিক্রম করে পশ্চিমে তিব্বতের লাসা হয়ে অবশেষে ভুটান, নেপাল ও ভারতে পৌঁছেছে। এ পথের সবচেয়ে দূর স্থান হলো পশ্চিম এশিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকার লোহিত সাগরের উপকূলীয় এলাকা। এক হাজার তিন শ' বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ এ পথের দৈর্ঘ্য চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। চীনের সমতল ভূমি ও ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির মধ্যে অবস্থিত এ পথ একটি বড় করিডোরের মতো রাস্তার পাশে বিভিন্ন জাতিকে সংযুক্ত করেছে। এটি যেমন একটি ব্যবসা-বাণিজ্যের সড়ক তেমনি একটি সংস্কৃতি প্রচারের পথও।
'সারা দিন খাবার না খেলেও চা খেতে হবে' - এ কথা তিব্বত মালভূমিতে অতি বিখ্যাত। তিব্বতি জাতির লোকরা ঘি-চা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের তেল ও উদ্ভিজ্জ তেলের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু মালভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশে চা চাষ করা যায় না। তবে চা চাষ করা সমতলভূমিতে তিব্বতের শ্রেষ্ঠ মানের ঘোড়া দরকার হয়। ফলে পরস্পরের জন্য প্রয়োজনীয় চা ও ঘোড়ার বিনিময় ব্যবসা চালু হয়। সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যবসা ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হয় এবং অবশেষে এ বিখ্যাত প্রাচীন চা-অশ্ব পথ গড়ে ওঠে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |