|
মন শান্ত হবে। তিব্বত পৌঁছার পর সকল আচার-আচরণ আস্তে করতে হবে। যেমন কথা বলার গতি এবং হাঁটার গতি। অন্য একটি বিষয় হল বিশ্রাম নেয়া। যে কোনো উদ্দিপ্ত কাজ না করা। নিজেদের অনুভব নিয়ন্ত্রণ করা। লাসায় পৌঁছার পর প্রথম রাত খুব বেশি পরিমাণে খাবার খাবেন না। স্বাভাবিক বিশ্রাম নিন এবং গোসল করুন, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
ট্রেনে করে তিব্বতে বেড়াতে আসা হল অনেক পর্যটকের প্রথমবার তিব্বতে আসার পরিবহন পদ্ধতি। কারণ লোকজন আসার পথে ৫০০০ কিলোমিটারের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারে। পবিত্র পাহাড়, হ্রদ, তৃণভূমি ও পশুপাখি পর্যটকদের জন্য আশ্চর্য্য অনুভব। কুয়াংচৌ-তিব্বত রেলপথের ট্রেনের পরিচালক ইউয়ু সিন ছিউ বলেছেন, নির্জন এলাকায় প্রবেশ করার পর সমুদ্রপৃষ্ঠের ৫০৭২ মিটার উঁচু থাংকুলা পাহাড়ে পৌঁছে তিব্বতী নীল গাই ও বনের গাঁধা সহজভাবে দেখা যায়। শীতকালে নামুছুও হ্রদের ওপর বরফ দেখা যায়, দূরদুরান্ত থেকে দেখলে মনে হবে নীল সীমান্ত, হ্রদ ও আকাশের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে, দেখতে আয়নার মতো। ছিয়াংথাং তৃণভূমিতে পশুপালনের দৃশ্য দেখা যায়। অনেক লোক এ সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য ট্রেনে তিব্বতে আসে। তিব্বতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছবি তুলার জন্য কোনো সাজানোর দরকার নেই, এসব ছবি দেখতে অতিব সুন্দর লাগে।
৭১ বছর বয়স্ক চৌ কে নিং বলেছেন, কুয়াংতুং থেকে ট্রেনে বসে বসে লাসায় আসার পথে প্রতিটি ট্রেন স্টেশনে তিনি ট্রেন থেকে নেমে রাস্তার দৃশ্য উপভোগ করেন।
প্রতিটি স্টেশন পৌঁছার পর যদিও থামার সময় অতি কম, তবে সবাই আন্তরিকভাবে স্থায়ী অঞ্চলের আবহাওয়া উপলব্ধি করতে চায় এবং তিব্বতী জাতির পোষাক দেখে অনেক মজা পায়। ট্রেন থেমে থাকার ৫ মিনিটের মধ্যে নেমে পাশাপাশি থাকা দোকানপাট ঘুড়ে দেখি।
কুয়াংতুং প্রদেশের লোকজন খাবার ধারণার ওপর গুরুত্ব দেয়। ট্রেনের একজন যাত্রী স্থায়ী অঞ্চলের খাবারের স্বাদ পছন্দ না করায় চিন্তা করার জন্য নিজস্বভাবে বৈদ্যুতিক রাইস কুকার নিয়ে এসেছে। আসলে ট্রেনের খাবারের ধারণা অতি প্রচুর। সিছুয়াং স্বাদ, কুয়াংতু স্বাদ, হুনান স্বাদ, তিব্বতী স্বাদ, মুসলমান খাবার ও পশ্চিমা ডিশ সবই পাওয়া যায়। মালভূমিতে এতো বেশি ধরনের খাবার রান্না করা একটি অতি কঠিন ব্যাপার। কারণ মালভূমির সমুদ্রপৃষ্ঠা খুবই উঁচু, খাবার কঠিনভাবে রান্না করা হয়। পর্যটকদের চাহিদার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি কাজ শুরু করতে হবে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |