|
২৭ বছর বয়স্ক ইয়াতারের হাত খুবই কোমল, সে দাদীর কাছ থেকে জাতীয় কাপড় বোনার কৌশল শিখেছে এবং তার দাদী হল ইয়াসিয়ার ছাত্রীদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে ইয়াতারের শিশু কাপড় বোনা শিখতে চায়।
গত বছর থেকে আমি কাপড় বোনা শিখতে শুরু করেছি, শুরুতে অনেক কষ্ট হতো, এখন মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। আমার ৯ বছর বয়স্ক মেয়েও শিখতে চায়, তবে তার হাতে এখন এতো শক্তি নেই, কয়েক বছর পরে শিখতে পারবে।
নান ই জেলার প্রধান মা ইয়া মনে করেন, লুওবা জাতির সংস্কৃতি ভালবাসা ও রাষ্ট্রীয় সমর্থনে ধারণ ও পোষণ করা হয়েছে।
গত শতাব্দীর ৮০ দশকে আমাদের সংস্কৃতি বিলুপ্তের মুখে পড়ে। এরপরে চীন সরকার ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি ও রীতিনীতির সংরক্ষণের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। বৃদ্ধ লোকেরা এখন আমাদের রীতিনীতি শিশুদেরকে শিখিয়েছেন। আমাদের সংস্কৃতি এভাবে ধারণ ও পোষণ করা হয় এবং শিশুরা সবাই এখন লেখাপড়া করছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সরকার অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ জোরদার করেছে, যার ফলে সাধারণ লোকদের অপরিচিত লুওবা জাতির সংস্কৃতি আরও বেশি প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছে। গত বছর ছাই চাও গ্রামের মেয়েরা জাতীয় পোষাক পড়ে শাংহাই বিশ্বমেলায় নিজেদের প্রদর্শন করেছে, অনেক পর্যটক তাদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে। লুওবা জাতির কাপড় ছাড়া, লুওবা জাতির পূর্বপুরুষদের কাহিনী চীনের রাষ্ট্রীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |