|
২০০০ সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর তাচাও মন্দির পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ক্ষেত্রে অনেক কাজ করেছে। নিমা সিরেন আরও বলেন, 'তিব্বতে প্রচলিত বৌদ্ধ ধর্মের একটি নিয়ম হলো বাতি জ্বালানো এবং হাজার হাজার বাতি জ্বালানো। এটা অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে অনেক অসুবিধাজনক। এ জন্য আমরা কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। অগ্নি নির্বাপক ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণসহ বিভিন্ন বিভাগের সমর্থন ও সাহায্যে মন্দিরের হাজার হাজার ঘি-বাতি প্রাঙ্গণ থেকে চত্বরে স্থানান্তরের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়েছে। বাতির ধারক সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয় এবং চত্বর ও প্রাঙ্গণের মধ্যে খানিকটা জায়গা আছে, যেটা অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে অনেক সহায়ক। তাচাও মন্দিরের ভিতর কাঠ ও মাটি দিয়ে নির্মিত। যদি অগ্নিকাণ্ড ঘটে, তা মানবজাতির জন্য একটি পাপ হবে।'
তিব্বতে আগত পর্যটকদের উদ্দেশে নিমা সিরেন বলেন, সমাজের বিভিন্ন মহলের উচিত পুরাকীর্তির সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো। কারণ তাচাও মন্দির শুধু তিব্বতের নয়, এটা হচ্ছে বিশ্ব ও গোটা মানবজাতির মণি।
'আমরা এখন একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হই। তা হচ্ছে পর্যটকের সংখ্যা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি। এ জন্য আমরা নানা ধরনের সম্প্রসারণ কাজ করি; আরও বেশি মানুষের সঙ্গে তাচাও মন্দিরকে পরিচয় করিয়ে দেই। এভাবে সবাইকে জানাই, তাচাও মন্দির শুধু আমাদের নয়, এটা হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের এবং গোটা মানবজাতির। আমরা তাচাও মন্দিরকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করবো এবং এটাকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করবো।'
(সুবর্ণা/এসআর)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |