তিব্বতের ইতিহাস ও সংস্কৃতির উন্নয়নে বিরাট অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে তাচাও মন্দিরে। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন থাং তুং চিয়ে বু।
'আমরা যে শ্রুভ্র দাড়ি, ভ্রু ও কেশের বৃদ্ধের মূর্তি দেখছি, উনিই থাং তুং চিয়ে বু। উনি ছিলেন তিব্বতের একজন বিখ্যাত চিকিত্সা বিশেষজ্ঞ। সপ্তম শতাব্দীতে লাসা ছিল জলাভূমি, তখন পরিবহন পদ্ধতি ছিল খুব সহজ; গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি ভাসন্ত স্তূপ। একদিনে তিনি ভাসমান স্তূপ ভাড়া করে লাসা নদী অতিক্রম করছিলেন। তখন এক জেলের সাথে তাঁর ঝগড়া হয়। জেলে তাঁকে লাঞ্ছিত করে। ফলে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন। অন্য মানুষেরা যাতে তাঁর মতো দুঃখের অভিজ্ঞতার শিকার না হয় সে জন্য তিনি সারা জীবনে ১০৮টি লোহার সেতু নির্মাণ করেন। আমরা তো জানি লোতার সেতু নির্মাণ করতে অনেক অর্থের দরকার। তিনি অর্থ সংগ্রহ করার জন্য শাননান অঞ্চলের একটি পরিবারের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। ওই পরিবারের ৭টি মেয়ে ছিলেন অতি রূপবতী; তাদের সবার চেহারা রাজকুমারীর মতো। থাং তুং চিয়ে বু তাদের নাচ-গানে প্রশিক্ষণ দেন এবং তাদের অভিনয়ের মাধ্যমে সেতু নির্মাণের অর্থ সংগ্রহ করেন। ফলে তিনি তিব্বতী নাটকের জনকে পরিণত হন। এর পাশাপাশি তিনি একজন বৌদ্ধ ধর্ম বিশেষজ্ঞ। এ কারণে স্থানীয় অঞ্চলের অধিবাসীরা নতুন বাসভবন নির্মাণের সময় থাং তুং চিয়ে বু'র মূর্তি বাসায় স্থাপন করে।'
1 2 3 4