|
বিখ্যাত ডিরেক্টার কাও ছুন শু হচ্ছেন চীনে চলচ্চিত্র থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করা পরিচালক। তাঁর শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে " টোকিও বিচার " এবং " ফেং শেং" ইত্যাদি। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি তাঁর ছোটবেলায় ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখার অনুভূতি এবং নিজের শিল্পী জীবনের প্রভাব সবার সাথে ভাগাভাগি করেছেন। তিনি বলেন, "নোমাডস" এবং "caravan"সহ ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র তাঁর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। তিনি কৌতুক করে বলেন, ছোটবেলায় দেখা চলচ্চিত্রগুলো হলো রঙহীন চলচ্চিত্র । তবে এখন সকলের দেখা চলচ্চিত্র সব রঙীন এবং বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন । ভারতের চলচ্চিত্রের যেমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে তেমনি নিজেদের ও চমত্কার ঐতিহ্য রয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" ভারত একটি রহস্যময় ও পবিত্র দেশ। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ বিখ্যাত কবি এবং দার্শনিকগণ রয়েছেন। অবশ্যই ভারত হচ্ছে আমাদের একটি সুপ্রতিবেশী দেশ। ছোটবেলায় আমিও ভারতের অনেক বিখ্যাত চলচ্চিত্র দেখেছি। "নোমাড" এবং "ক্যারাভান" এ দু'টি চলচ্চিত্রের গানও সবার মুখে মুখে প্রচলিত ছিল। এবারের অনুষ্ঠানের একজন দূত হিসেবে আমি সকলকে ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আমির খানের তৈরী প্রথম শিল্প কর্ম ---" পৃথিবীর তারা" নামক এ চলচ্চিত্র দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। এ চলচ্চিত্রের সংক্ষিপ্ত বিষয় হচ্ছে একজন প্রতিবন্ধী ছেলের তাঁর আত্মীয়স্বজনের সাহায্যে পুনরায় স্বাভাবিক জীবন কাটানোর গল্প। এ চলচ্চিত্র বলিউডের ৫৩তম ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচে' চমত্কার ডিরেক্টার এবং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পদক অর্জন করেছেন । এ চলচ্চিত্রকে ভারতের শিশু চলচ্চিত্রের একটি দৃষ্টান্তমূলক কর্ম বলে অভিহিত করা হয়।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর নিজের স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চমত্কার ভাবমুর্তি নির্ভর করে চীন ও ভারতের সংস্কৃতির উত্তরাধিকারীর ওপর। যা দু'দেশের জনগণের মৈত্রী ত্বরান্বিত এবং পারস্পরিক সংস্কৃতি জানাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্র এ একটি নতুন সেতু স্থাপন করেছে। এ কল্যাণে ভারতীয় বন্ধুরা খুব কাছে থেকে চীনকে জানতে সক্ষম হচ্ছেন এবং ভারতকে জানার জন্য চীনা বন্ধুদের একটি জানালাও খুলে গিয়েছে। ----ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |