|
চীন ও ভারত উভয়েই বিশ্বের সভ্য ও পুরানো দেশ। দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই দু'হাজারেরও বেশি বছরের সুইতিহাস রয়েছে দেশ দু'টির। দু'দেশের জনগণ পারস্পরিক উন্নয়ন ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে নিজেদের স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমৃদ্ধ সভ্যতা ও উন্নয়নের ধারায় রয়েছে বলে মানবজাতির অগ্রগতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পেরেছে। চীন ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীন ও ভারত দু'দেশ প্রথমবারের মত পারস্পরিকভাবে নিজেদের রাষ্ট্রীয় দিবস আয়োজন করে এবং ধারাবাহিক উদযাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এটি বিভিন্ন পক্ষের প্রশংসা পেয়েছে। "চীনা দিবস"-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ২০১০ সালের মে মাসে ভারতে চীনা চলচ্চিত্র দিবস ভারতের রাজধানি নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়। চলচ্চিত্র " কনফুসিয়াস" এ অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হয়। এটিও সকল ভারতীয় দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছি, যাতে চীনা সংস্কৃতি সুষ্ঠুভাবে ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। এবারের চীনের ভারতীয় চলচ্চিত্র দিবসে অংশগ্রহণকারী চীনের চীনের জাতীয় বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র প্রশাসনিক ব্যুরোর মহাপরিচালক থুং কাং বলেন:
" ২০১০ সাল হচ্ছে চীন ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী। চীনা দিবসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চীনা চলচ্চিত্র দিবস ইতোমধ্যেই গত মে মাসে ভারতের রাজধানি নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়। " কনফুসিয়াস" এবং " আমার পিতা ও মাতা"সহ বহু বিখ্যাত চলচ্চিত্র ভারতের জনগণের কাছে চীনা জনগণের আন্তরিক শুভেচ্ছা এনে দিয়েছে। ভারতীয় দিবসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হিসেবে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী চীনের পেইচিং, ছুং ছিং এবং কুয়াং চৌসহ তিনটি শহরে মোট ১০টি নামকরা চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ভারত হচ্ছে বিশ্বে চলচ্চিত্র নির্মাণের দিক থেকে একটি বড় দেশ । যার তৈরী চলচ্চিত্র বিশ্বে বেশ সুনাম রয়েছে। "নোমাড" এবং "ক্যারাভান"সহ বিখ্যাত চলচ্চিত্র গত শতাব্দীতে চীনা দর্শকদের মনে প্রগাঢ় ছাপ ফেলেছে। আমি বিশ্বাস করি, এবারের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিশ্চয় চীনা দর্শকদের মনে সুন্দর ও গভীর ছাপ ফেলা অব্যাহত থাকবে এবং ভারতীয় জনগণের প্রতি চীনা জনগণের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীও জোরদার হবে।"
চলচ্চিত্র নির্মাণের দিক থেকে দু'টি বড় দেশ হিসেবে চীন ও ভারতের মধ্যে বেশ প্রবল পারস্পরিকতা রয়েছে। তবে দু'পক্ষের বিনিময় বেশি নয় বলে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতি অনেক চীনাদের ছাপ শুধু সিমিত তবে "নোমাড" এবং "ক্যারাভান"সহ পুরানো চলচ্চিত্রের মধ্যে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের চলচ্চিত্র উত্পাদনের বার্ষিক পরিমাণ প্রায় ১ হাজারেরও বেশি। চীনও দ্রুত উন্নয়নের পথে রয়েছে। ভবিষ্যতে দু'দেশ যৌথভাবে চলচ্চিত্র তৈরীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক বাজার সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |