|
চলচ্চিত্রের শুরুতে দেখা যায় আকাশে একটি পালক বাতাসের সঙ্গে নেচে গাছ পার হয়ে উচুঁ আকাশের দিকে যাচ্ছে। অবশেষে এই পালক ফরেস্ট গাম্পের পায়ের কাছে এসে পরে। গাম্প সেই পালক মাটি থেকে সংগ্রহ করে তাঁর প্রিয় বইতে রাখেন। প্রিয় শ্রোতা, আপনারা চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন এতে বর্ণনা করা হচ্ছে যে, গাম্প সাভান্নাহ রাজ্যের একটি লম্বা চেয়ারে বসে তাঁর সঙ্গে বাসের জন্য অপেক্ষা করা যাত্রীদেরকে তাঁর সারা জীবনের কাহিনী বলছেন।
গাম্প দ্বিতীয় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম থেকে তিনি একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। কিন্তু তাঁর মা একজন শক্তিশালী মহিলা। তিনি আশা করেন, তাঁর ছেলে অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাতে পারবে। গাম্পের বোধশক্তির মাপ মাত্র ৭৫ নম্বর, তা সত্ত্বেও অন্যদের চেয়ে তিনি খুব দ্রুত দৌঁড়াতে পারেন। স্কুল বাসে গাম্প প্রথমবারের মতো জেনি নামে একটি ছোট মেয়ের সঙ্গে মিলিত হন। তারপর মা এবং জেনির অনুপ্রেরনায় গাম্প সারা জীবনের দৌড় শুরু করেন।
প্রিয় শ্রোতা, চলচ্চিত্রের যে গানটি শুনছেন তা হলো ক্লারেন্স হেনরির গাওয়া আই ডোন্ট নো হোয়াই বাট আই ডু। গাম্প তাঁকে সাহায্যকারী জেনিকে ভালোবেসে ফেলেন। তাই গাম্প মাঝে মাঝে জেনির আবাসিক হোটেলের দরজার পাশে জেনির জন্য অপেক্ষা করেন। প্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন যে গানটি শুনছেন এতে সেই সময় গাম্পের মনের তখনকার অবস্থা পুরোপুরিভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়।
মাধ্যমিক স্কুলে গাম্প সহপাঠীদের তাড়া এড়ানোর জন্য একটি স্কুলের রাগবি ক্ষেত্রে দৌঁড়েছেন। তাঁর চমত্কার গতির কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একজন রাগবি তারকা হন এবং তখনকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |