|
সমাপনি বক্তব্যের পূর্বে অনুষ্ঠানের মূলপর্বে চীনের পেইচিং বিদেশি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও রবীন্দ্রসমগ্র অনুবাদক কমিটির প্রধান প্রফেসর তোং ইয়ৌছেন এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্য ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ওয়েই লিমিং-কে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ উত্তরীয় পরিয়ে দেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা কবীর চৌধুরী মারিয়াম এবং ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন চেয়ারম্যান ইনামুল কবীর শান্ত।
অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক ড. মুস্তফা নূর-উল ইসলাম, ড. আ.ব.ম. নুরুল আনোয়ার, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলা একাডেদমীর পরিচালক শাহিদা খাতুন, ডাক পরিদপ্তর বিভাগের মহাপরিচালক মোবাশ্বেরুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র, শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, সংস্কৃতি সচিব সুরাইয়া বেগম, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব শফিক আলম মেহেদী, চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর ওয়াং ইয়ূ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.সৌমিত্র শেখর, ড. আহমদ রফিক, আতাউর রহমান, ড. শফি আহমেদ, প্রফেসর জাহানারা, ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়, ড. চঞ্চল খান, মেজর জেনারেল রোকনুদ্দোল্লাহ, চিত্রশিল্পী হাশেম খানসহ বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাহমুদ হাশিম, কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের শিক্ষক চাউ চিং ইয়ে এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতারের শ্রোতা প্রতিনিধি হিসেবে সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের পরিচালক দিদারুল ইকবাল, সমন্বয়কারী তাছলিমা আক্তার লিমা, এছাড়া সান্তা মারিয়াম ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবু জুবায়ের ও এর বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত সন্ধ্যার ব্যানার
অনুষ্ঠান জুড়ে মনোজ্ঞ রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন, শিমু দে, হিমাদ্রী শেখর, প্রমোদ দত্ত, পাপিয়া সারোয়ার এবং লিলি ইসলাম প্রমূখ। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করেন, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ভাস্বর বন্দোপাধ্যয়।
অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ মূহুর্তে তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান চীনের দুই অধ্যাপক তোং ইয়ৌছেন, ওয়েই লিমিং এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের প্রতিনিধি ও ঢাকায় সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের চীনা পরিচালক ইয়াং ওয়েইমিং স্বর্ণা-কে তাঁর লেখা 'রবীন্দ্র-রচনার রবীন্দ্র-ব্যাখ্যা', 'মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ' এবং 'সুভাষিত' এই তিনখানা বই উপহার দেন। এছাড়া লুত্ফর রহমান জয় তার লেখা 'পৃথিবীর এক বিশ্ববিদ্যালয়' নামক বইটি চীনা অতিথিদের উপহার দেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীত সন্ধ্যা শেষে বিশেষ ও বিশিষ্ট অতিথিদের নিয়ে ফটো সেশন হয়।
দলীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করছেন শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের সাবেক বিশেষজ্ঞ ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের উপদেষ্টা ও শিক্ষক মহিউদ্দিন তাহের বাঙালি জাতি সম্পর্কে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের করা খেদোক্তিটি মিথ্যা প্রমাণ করার আহবান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত করেন।
"আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না,
আড়ম্বর করি কাজ করি না,
যাহা কিছু অনুষ্ঠান করি, তাহা বিশ্বাস করি না
যাহা বিশ্বাস করি, তাহা পালন করি না
ভূরি পরিমাণ বাক্য রচনা করিতে পারি,
তিল পরিমাণ আত্মত্যাগ করিতে পারি না
অংহকার দেখাইয়া আমরা পরিতৃপ্ত থাকি,
যোগ্যতা লাভের চেষ্টা করি না
সকল কাজেই আমরা পরের প্রত্যাশা করি, অথচ
পরের ত্রুটি-বিচ্যুতি লইয়া গগন বিদীর্ণ করিতে থাকি......."
| ||||
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |