রাজা: বল, কেন?
মন্ত্রী: জী হুজুর গর্দান যাবে এই জন্যে যে, ধরুন গিয়ে, হচ্ছে গিয়ে, আজ্ঞে জানি ...না।
রাজা: (ধমক দিয়ে) অকর্মণ্য! এত বড় একটা রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে কেন তোমার গর্দান যাবে তা তুমি বলতে পার না?
মন্ত্রী: পেয়েছি! পেয়েছি!
রাজা: কি পেয়েছো?
মন্ত্রী: পেয়েছি, না, হুজুর মানে উত্তর টা পেয়েছি, মানে কি হুজুর, এত বড় রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে এই সামান্য কথা নিয়ে আমি কেনো মাথা ঘামাবো? এ হলো কোটালের কাজ।
রাজা: হু ঠিক ঠিক বলেছো, কোটালা বাবাজি বলতো দেখি।
কোটাল কানে একটু খাটো, ঠিকমতো শুনতে পায় না, মাথা নিচু করে নিজের মনে বিড়বিড় করে.. ওরে আমার..কি যে ...হলো মাবুদ রে....
রাজা: কোটাল (হুংকার দিয়ে)
কোটাল: (হঠাত্ শোনার মতো করে) হুজুর জী হুজুর
রাজা: বলো কেনো মন্ত্রীর গর্দান যাবে?
কোটাল: (একগাল হেসে) আজ্ঞে, হুজুর ওর গর্দানতো আগেই যাওয়া উচিত ছিল, ওর মুখখানা যা বিশ্রী!
রাজা: চোপ, হল না।
কোটাল: জী হুজুর হল না
রাজা: যে বলতে পারবে, তার বখশিশ মিলবে, ভুল হলে গর্দান!
রাজার হুংকারে যাও বা উত্তর দেয়ার চেস্টা ছিল, এবার গর্দান যাবার ভয়ে কেউই সাহস করে আর রাজার প্রশ্নের উত্তর দিলো না, উল্টো মাথা হেট করে সবাই নিশ্চুপ হয়ে থাকে। এতে রাজা ভীষণ ক্ষেপে যায় এবং হুংকার দিয়ে বলে- 'কি হলো সবাই যে বড় চুপটি মেরে আছো, রাজার হুকুম অমান্য করার সাহস তো বড়?'
এ সময়ে রাজ সভা কক্ষে উপস্থিত ছিল ছোকরা চাকর। সে একা একাই দরবার কক্ষের মেঝেতে বসে তাস নিয়ে পিটাপিটি খেলছিল। ছেলেটি রাজার হাক ডাক শুনতে পেয়ে রাজার দিকে একটুও মুখ না তুলেই বলে- 'আজ্ঞে হুজুর, মন্ত্রী বাহাদুর একটু বেশি করে পিঠচুলকিয়ে দিয়েছে কিনা, তাই এখন আপনার পিঠ জ্বালা করছে, আর এ কারনে তার গর্দান যাবে'।
সবাই: ঠিক ঠিক বলেছে ছোকরা। আহা হতভাগা আগে আগেই উত্তরটা বলে দিলো। আমরাওতো ঠিক এই কথাটাই বলতে যাচ্ছিলাম হুজুরকে।