Web bengali.cri.cn   
চীনের বারো রাশির গল্প
  2013-04-01 16:49:43  cri

চেলাপোকা দেখলো বোঝানোর অন্য কোনো উপায় নেই। তাই সে বলল, "তাহলে আমারও উপায় নেই। সে ফেরত না দিলে, আমিতো আর জোর করতে পারি না। আমি তার মুখোমুখি হতে চাইলে সে যদি পানির মধ্যে লুকিয়ে থাকে। তাহলে আমি কী করতে পারি। আমি তো আর হ্রদের নিচে যেতে পারি না।" মোরগ এবার উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলো, সে বলল, "তখন তো তুমি নিজেই ড্রাগণের জন্য জামিনদার হয়েছিলে। জামিনদার যখন হয়েছো তখন তোমাকে ন্যায়পরায়ন হতেই হবে। আমি ন্যায়বিচার চাই।"

চেলাপোকা বলল, "মোরগ দাদা, তখন যদি তুমি ড্রাগনকে ধার দিতে রাজি না হতে, আমি কীভাবে তোমাকে রাজি করাতে পারতাম? আমি মনে করি, তোমরাই, একজন ধার নিতে চেয়েছো, আরেকজন ধার দিতে চেয়েছো। ফলে আমি এসে সহজেই জামিনদার হলাম। আর তাই তোমরা নিশ্চিন্তে কাজটি করতে পেরেছো। আমি কীভাবে জানবো যে, এ কাজটা এমন হবে? যদি প্রথম থেকে জানতাম তাহলে আমি অবশ্যই এর মধ্যে ঢুকতাম না।" মোরগ বুঝতে পেরেছে, চেলাপোকা এখন আর এ বিষয়ের মধ্যে থাকতে চাচ্ছে না এমনকি তাকে সাহায্যও করতে চাচ্ছে না। সে চুপে চুপে বললো, "তাহলে এখন আমি কী করতে পারি?" চেলাপোকা বললো, "তুমিই ড্রাগণের কাছে যাও, তোমার শিঙ ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করো। যদি পাও তো ভালো, না পেলে তোমার ভাগ্য খারাপ আর কি। এর জন্য তো কাউকে দায়ী করতে পারো না। কেন তুমি ড্রাগণের কথা বিশ্বাস করেছিলে।"

এ কথা শুনে মোরগের ভীষণ রাগ হলো। চোখ মুখ লাল হয়ে গেল। সে তখন বললো, "কী? কী বললে তুমি? অবশেষে এর জন্য আমাকেই দায়ী করা হচ্ছে?" চেলাপোকা মাথা ঝাকিয়ে বললো, "হ্যাঁ, তোমারই দোষ, যদি তুমি রাজি না হতে, তাহলে সে তো আর ছিনতাই করতে পারতো না। তাই না?"

মোরগ এতটাই রেগে গেলো যে, আর কিছু না বলে সোজা তাকে মুখে পুরে খেয়ে ফেললো। তখন থেকে চেলাপোকা হলো মোরগের খাদ্য, যখন যেখানে এই পোকা দেখতে অমনি তা ধরে ধরে খেয়ে ফেলে। আর নিজেকে বাঁচানোর জন্য চেলাপোকা কেবল পাথরের নিচে অন্ধকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। কিন্তু মোরগ নিজের শিঙের কথা ভুলতে পারে না। তাই প্রতিদিন ভোরবেলা সে আকাশের দিকে তাকিয়ে ডাকতে থাকে, কু কু কু রু রু কু ....কু ..কু এর অর্থ "ড্রাগণ ভাই, আমার শিঙ জোড়া আমাকে ফেরত দাও।" (লিপন)


1 2 3 4 5
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক