বিশ্বের সবুজ উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার খাতে চীন অব্যাহত শক্তি যোগাবে: সিআরআই সম্পাদকীয়
2024-08-30 21:24:33

অগাস্ট ৩০: সম্প্রতি একটি চীনা নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি পরিবহন জাহাজ জার্মানি থেকে ফিরে আসছে। এর আগে জাহাজটি স্পেন, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিসহ একাধিক দেশে কয়েক হাজার চীনা নতুন জ্বালানি গাড়ি পরিবহন করেছে। যা স্থানীয় বাজারের বিরাট চাহিদা পূরণ করবে। চীনের সংশ্লিষ্ট গাড়ি উৎপাদন শিল্পপ্রতিষ্ঠান সিএমজিকে জানায়, আগামী ৩ বছরে তারা এ ধরনের ৬ থেকে ৭টি পরিবহন জাহাজ ব্যবহার করবে। যাতে আরও বেশি চীনা সবুজ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা যায় এবং স্থানীয় নতুন জ্বালানি শিল্পের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া যায়। 


চীন সরকার ২৯ অগাস্ট ‘চীনের জ্বালানি রূপান্তর’ শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। এতে কয়েক ডজন বছরে চীনের জ্বালানি রূপান্তরের সুফল এবং বিশ্বের সবুজ উন্নয়ন, একযোগে পরিষ্কার ও সুন্দর বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় চীনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান দেখা যায়।


বর্তমানে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ একাধিক চ্যালেঞ্জ্যের মুখে পড়েছে বিশ্ব। সেই সঙ্গে সবুজ ও নিম্নকার্বন উন্নয়নের অভিন্ন সুযোগও পাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি উৎপাদন ও ভোক্তা দেশ হিসেবে, চীন ইতিবাচকভাবে সবুজ উন্নয়নের ধারণা বাস্তবায়ন করছে এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উন্নয়ন আরও এগিয়ে নিচ্ছে। বিগত ১০ বছরে চীনের সমাজজীবনে ব্যবহৃত উন্নত বিদ্যুতের অর্ধেকেরও বেশি হচ্ছে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদিত বিদ্যুত। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার প্রকাশিত ‘২০২৩ সাল নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রতিবেদনে’ বলা হয়েছে, বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীন সামনের সারিতে রয়েছে। চীনও হচ্ছে বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিকাশের প্রধান চালিকাশক্তি।  


চীনের সবুজ জ্বালানির বিকাশ অব্যাহত রয়েছে। তা শুধু বিশ্বব্যাপী সবুজ জ্বালানি সরবরাহেই কাজ করছে- তা নয়, বরং বিশ্বের সবুজ উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 


বর্তমানে চীন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নবায়নযোগ্য জ্বালানির বাজার ও সরঞ্জাম উৎপাদনকারী দেশ। চীন অব্যাহতভাবে উচ্চ গুণগত মান, উচ্চ কার্যকর ও সাশ্রয়ী নতুন জ্বালানি পণ্য উৎপাদন করছে। তা বিশ্বের ভোক্তাদের একাধিক বাছাইয়ের সুযোগ দিয়েছে এবং বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমিয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত, বিশ্বের জীবাশ্ম-মুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের হার ১৩.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮.৫ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্যে চীনের অবদান ৪৫.২ শতাংশ।  


পাশাপাশি, চীন উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ প্রসারিত করেছে। তা পরিচ্ছন্ন জ্বালানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।


চীনের উন্নয়নের বাস্তবতায় প্রমাণ করেছে যে, বিশ্বের দরকার হাতে হাত রেখে সবুজ রূপান্তর এগিয়ে নেওয়া। ভবিষ্যতে, চীন অবশ্যই বিশ্বের সবুজ উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও শক্তি যোগাবে।

 

(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)