চীনের ‘অত্যধিক উত্পাদন ক্ষমতা’র অতিরঞ্জন বৈশ্বিক জ্বালানি রূপান্তরকে বিলম্বিত করবে: বিদেশী তথ্য-মাধ্যম
2024-04-23 14:08:24

এপ্রিল ২৩: মার্কিন ও ইউরোপীয় সরকারগুলো সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত চীনা পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে আগ্রহী। এ ধরনের সংরক্ষণবাদ বিশ্বের সবুজ জ্বালানি রূপান্তরকে বিলম্বিত করবে। সম্প্রতি মার্কিন ব্লুমবার্গ নিউজে প্রকাশিত কলামিস্ট ডেভিড ফিকলিংয়ের নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে।

নিবন্ধে বলা হয়, গত কয়েক বছর বিশ্বের বায়ুশক্তি শিল্পে মন্দা ছিল। সুদের হার ও উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগকারীদের মুনাফার পরিমাণ কমেছে। এ ছাড়া জ্বালানি রূপান্তরের প্রতি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মোড়লদের উদাসীন মনোভাব রয়েছে এবং নতুন টারবাইনের স্থাপন করার ক্ষমতা অভিষ্ট লক্ষ্যের চেয়ে কম। এর বিপরীতে চীনের ব্যাপক কার্যক্রমের কারণে বর্তমানে শিল্পটির পুনরুদ্ধার হচ্ছে।

নিবন্ধে বিশ্ব বায়ুশক্তি পরিষদের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বে নতুন বায়ু টারবাইনের বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতা ২০২২ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ১১৭ গিগাওয়াটে পৌঁছেছে। কিন্তু চীনের নতুন ক্ষমতা বাদ দিলে, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষমতা ২০২০ সালের চেয়ে শুধু ০.০৮৮ গিগাওয়াট বেড়েছে, তার মানে শুধুমাত্র ৬টি বড় অফশোর টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এ খাতে প্রতি বছরে কয়েক হাজার বড় অফশোর টারবাইন স্থাপন করা উচিত।

নিবন্ধে আরো বলা হয়, বিশ্বের জ্বালানি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাইলে, বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ক্ষতিকর বাণিজ্য যুদ্ধ উস্কে না দিয়ে, এক্ষেত্রে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশসহ বিভিন্ন সরকারের সমর্থনকে স্বাগত জানাতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধ মাত্রা অনুযায়ী পণ্য উত্পাদন করলে, অত্যধিক উত্পাদন ক্ষমতা হবে না, বরং বিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি রূপান্তরকে নিশ্চিত করবে।

 (প্রেমা/হাশিম/শুয়েই)