জাপানের নতুন পাঠ্যপুস্তকের বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশ নেটিজেন
2024-04-22 18:09:58

এপ্রিল ২২: সম্প্রতি জাপানি সরকার ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকের একটি নতুন সংস্করণ অনুমোদন করেছে, যা জাপানের যুদ্ধকালীন নৃশংসতাকে যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। নেটিজেনদের অধিকাংশই এ সিদ্ধান্তে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

সারা বিশ্বের নেটিজেনদের মধ্যে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র সিজিটিএন কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপের অংশগ্রহণকারীদের ৮২.৪৫ শতাংশই আগ্রাসনের ইতিহাসের প্রতি জাপানি সরকারের মনোভাবের তীব্র নিন্দা করেছেন।

পাঠ্যপুস্তকের নতুন সংস্করণে ঔপনিবেশিক শাসনামলে প্রতিবেশী দেশগুলোর নারীদের জোরপূর্বক যৌনকাজে ব্যবহারের বিষয়টি প্রকারান্তরে অস্বীকার করা হয়েছে এবং অনেক মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯৫.৩৫% এর দৃঢ় বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেছেন, জাপান সরকারের উচিত ইতিহাসকে সম্মান করা ও ঐতিহাসিক তথ্যকে বিকৃত না করা।

একজন নেটিজেন বলেছেন: "যে দেশগুলো আধুনিক যুগে গণহত্যার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তাদের উচিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তথ্যগুলো বইয়ে তুলে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে সম্পাদকদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।"

উত্তরদাতাদের ৯১.৮২ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, ইতিহাসে অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করা দেশ হিসেবে, জাপানের উচিত ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হওয়া। একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন: "জাপানকে জার্মানির কাছ থেকে শিখতে হবে; নিজের সমস্ত নৃশংসতার কথা স্বীকার করতে হবে; চীন, ফিলিপিন্স এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; এবং পাঠ্যপুস্তকে সকল অপকর্মের কথা উল্লেখ করতে হবে।"

জরিপটি সিজিটিএনের ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি এবং রুশ ভাষার প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোট ৭৪৩১ জন নেটিজেন ভোটদানে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত প্রকাশ করেন। (শুয়েই/আলিম/আকাশ)