সিএমজিকে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সাক্ষাত্কার
2024-04-15 19:13:57

এপ্রিল ১৫: অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রীর জ্যাস্টন ব্রাউন চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনে সফর করেছেন। সফরকালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, আঞ্চলিক সহযোগিতা উন্নয়নে চীনে ভূমিকা নিয়ে সিএমজিকে একান্ত সাক্ষাত্কার দেন তিনি।

অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা হল পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী প্রথম কাতারের দেশ। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর ধরে দু’দেশ সমসময় পরস্পরকে সম্মান করে ও সমর্থন করে এবং বড় ও ছোট দেশের মধ্যে সম্মান জানানো ও কল্যাণমূলক সহযোগিতা করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ব্রাউন বিশ্বাস করেন দু’দেশের সম্পর্কের আরো উন্নয়ন হবে।

তিনি বলেন, বিগত ১০ বছর চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুল সাহায্য দিয়েছে, যাতে তারা দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হতে পারে। তার উত্থাপিত ‘মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ’ একটি মহান উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে চীন বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অনেক অবদান রেখেছে। অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা চীনের সদিচ্ছার সুবিধাভোগী। এখন চীন সারা বিশ্বের দেশগুলোকে তাদের ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করছে, সমৃদ্ধ ভবিষ্যত শেয়ার করার স্বপ্ন পূরণ করছে এবং অনেক ফলাফল অর্জন করেছে।

২০১৮ সালে চীন এবং অ্যান্টিগুয়া ও বারবুড়া যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণের একটি স্মারক স্বাক্ষর করেছে, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডাও পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে চীনের সঙ্গে এই স্মারক স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। দু’পক্ষের সহযোগিতা দু’দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা ও উপকার বয়ে এনেছে।

ব্রাউন বলেন, ‘বিগত ২০ বছরে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ পেয়েছে, যা সাধারণত বিশ্ব ব্যাংক বা আইএমএফ থেকে পাওয়া যায় না। চীনের তথাকথিত ‘ঋণ ফাঁদ’ সত্য নয়। চীনের ঋণ না পেলে আমরা সফলভাবে অনেক প্রকল্প নির্মাণ করতে পারতাম না। প্রেসিডেন্ট সি’র উদ্যোগ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সত্যিকারের কল্যাণ এনেছে।’

দ্বীপ দেশ হিসেবে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা এর সুন্দর সৈকতের জন্য বিখ্যাত। তবে দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ব্রাউন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ক্যারিবিয়ান, প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের সব ছোট দ্বীপ দেশগুলোর জন্য গুরুতর হুমকি। তাই আমরা কার্বন নির্গমন হ্রাস ও টেকসই সবুজ প্রযুক্তি উন্নয়ন সমর্থন করি। আমাদের উচিত টেকসই উপায়ে উন্নয়ন সাধন। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডের’ সবুজ উন্নয়ন নিঃসন্দেহে একটি জনপ্রিয় উদ্যোগ।’

(তুহিনা/হাশিম/শিশির)