মহাসাগরের রহস্য অনুসন্ধানে
2024-04-08 19:27:44

এপ্রিল ৮, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: গভীর মহাসমুদ্রের রহস্য সন্ধানে ৫০ দিন ধরে বৈজ্ঞানিক অভিযান পরিচালনা করে সম্প্রতি চীনের উপকূলীয় শহর সানইয়াতে ফিরেছে অনুসন্ধানী জাহাজ ডিসকভারি ওয়ান। তার সঙ্গে ছিল মানববাহী ডুবোযান স্ট্রাইভার।

গভীর সমুদ্রের রহস্য সন্ধানে চীন ও ইন্দোনেশিয়ার যৌথ এ অভিযান সম্প্রতি পরিচালিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইন্দোনেশিয়া ও চীন যৌথভাবে এমন বৈজ্ঞানিক অভিযান পরিচালনা সম্পন্ন করেছে।

দক্ষিণ চীনের দ্বীপ প্রদেশ হাইনানেএর উপকূলীয় শহর সানইয়া থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে ডিসকভারি ওয়ান। ৫০ দিনের মিশনে অভিযাত্রীরা ভারত মহাসাগরে অবস্থিত জাভা ট্রেঞ্চে অনুসন্ধান পরিচালনা করে। গভীর সমুদ্র থেকে আনা নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন গবেষকরা।

মানববাহী ডুবোযানে জাভা ট্রেঞ্চে সাগরতলে ৭হাজার ১৮০ মিটার গভীরে সাফল্যের সঙ্গে অভিযান চালান গবেষকরা। এটি ইন্দোনেশিয়ার জন্য সবচেয়ে গভীরে ডুব দেয়ার রেকর্ড। চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস এবং ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন এজেন্সির যৌথভাবে পরিচালিত অভিযানে বিজ্ঞানীরা অনেক অজানা রহস্য জানতে পেরেছেন।

তারা ট্রেঞ্চ থেকে দুইশর বেশি বড় বেনথিক অনুজীব সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে অতল জলেরএকাধিক নতুন প্রজাতি রয়েছে।

ইনস্টিটিউট অব ডিপ সি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস এর একজন গবেষক তু মংরান। তিনি বলেন,  ‘আমরা জাভা ট্রেঞ্চে দুটি সক্রিয় নিম্ন তাপমাত্রার হাইড্রোথারমাল ভেন্ট এলাকা আবিষ্কার করেছি। সেখানে কম তাপমাত্রার হাইড্রোথারমাল ভেন্ট তরল রয়েছে । এই তরল বেনেথিক অনুজীবের জন্য খাদ্য ও শক্তির মূল্যবান উৎস। আমরা ট্রেঞ্চের তলায় আয়রন অক্সাইড সমৃদ্ধ আস্তরণ দেখেছি। এসব আবিষ্কার ওই এলাকার জীববৈচিত্র্য এবং ভূতাত্ত্বিক কার্যক্রম বুঝতে দারুণভাবে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ভূতত্ব ও জীবনের সহ-বিবর্তন বুঝতেও সুবিধা হবে।’

গভীর সমুদ্রে দুই দেশের যৌথপরিচালিত এই বৈজ্ঞানিক অভিযান সম্প্রতি সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ার পর জাহাজটি সানইয়াতে ফিরে এসেছে।

শান্তা/রহমান