ডমিনিকার প্রেসিডেন্টের বিশেষ সাক্ষাত্কার নিয়েছে সিজিটিএন
2024-04-06 15:58:26

এপ্রিল ৬: সম্প্রতি ডমিনিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট স্কারিট চীন সফর করেছেন। সফরকালে তিনি সিজিটিএনের বিশেষ সাক্ষত্কার নিয়েছেন।

তিনি বলেন, চীন হলো ডমিনিকার প্রকৃত বন্ধু। এবার চীন সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক। তাঁরা দু’জন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। সি চিন পিংয়ের মতো ডমিনিকা সরকারও বহুপক্ষবাদের ভিত্তিতে বিশ্বজুড়ে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব করেছে, যাতে বিশ্বায়ন জোরদার করা যায়। তাই এবারে প্রেসিডেন্ট সি’র সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।

রুজভেল্ট বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট সি’র সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুতে মতৈক্য পৌঁছেছেন। তাঁরা উভয়ে মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় আরো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে চীন ডমিনিকাকে অনেক সহায়তা ও সমর্থন জানায়। প্রেসিডেন্ট সি’র ধারাবাহিক প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে। এসব প্রস্তাব বিশ্বের শান্তি রক্ষা করা এবং অভিন্ন কল্যাণ জোরদার ও সমৃদ্ধি বাস্তবায়নে সহায়ক।

সাক্ষাত্কারে তিনি এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন জানান। তিনি বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করলে অবশ্যই এক-চীন নীতিকে সম্মান করতে হয়। এটি মতাদর্শ সম্পর্কে নয়, জাতিসংঘ ও সব আন্তর্জাতিক সংস্থার সমর্থিত আন্তর্জাতিক আইন।

একটি ছোট দ্বীপ দেশ হিসাবে ডমিনিকা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে। চীন পশ্চিম ডমিনিকায় উপকূলীয় মহাসড়ক নির্মাণ ও মেরামতের কাজ করেছে। এ ছাড়া চীন ডমিনিকার জন্য ৬টি বিদ্যালয় নির্মাণ করেছে। ডমিনিকা চীন থেকে কৃষি প্রযুক্তি শিখেছে এবং দু’দেশের কৃষি খাতে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, কিছু দেশ চীনের পদক্ষেপকে ভুল বুঝেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু ইউরোপীয় দেশ। তবে, চীন লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোকে ‘নো-স্ট্রিং-সংযুক্ত সাহায্য’ ও অগ্রাধিকারমূলক ঋণ দেয়। যা সত্যিই ল্যাটিন আমেরিকান ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোকে ভূখণ্ডের অখণ্ডতা বজায় রাখতে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাহায্য করে। উন্নত কোনো দেশই এ ধরনের সহায়তা দেয় না।

তিনি আরো বলেন, ডমিনিকা একটি পরিচ্ছন্ন প্রাকৃতিক স্বর্গ। সেদেশ অব্যাহতভাবে পর্যটন শিল্প উন্নত করবে। সেদেশটি ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ দ্বীপের অন্যমত। তিনি আশা করেন, আরো বেশি চীনা পর্যটক ডমিনিকায় ভ্রমণ করবেন।

‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, উদ্যোগটি ডমিনিকা-সহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ডমিনিকা চীনের সঙ্গে বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন এবং বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়ন জোরদার করতে ইচ্ছুক।

 (ছাই/তৌহিদ)