আবার বৃক্ষরোপণে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যা বলেছেন
2024-04-04 16:27:49

এপ্রিল মাসে বেইজিংয়ে ফুল ফোটে এবং গাছে নতুন কুঁড়ি আসে। বুধবার সকালে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রাজধানীর  স্বেচ্ছায় বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশ নিতে বেইজিংয়ের থুংচৌ ডিস্ট্রিক্টের লুছেং থানায় যান। বৃক্ষ রোপণস্থলে তিনি জোর দিয়ে বলেন, মাতৃভূমিকে সবুজ করতে হলে আমাদের একই সঙ্গে সবুজের সম্প্রসারণ, প্রচার ও সুরক্ষা করতে হবে।

সি চিন পিং টানা অনেক বছর ধরে বৃক্ষরোপণে অংশ নিচ্ছেন, তা কী কী তথ্য প্রচার করেছে? আজকে এই বিষয় নিয়ে কথা বলবো।

এই বছর গাছ লাগানোর জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ সময় রয়েছে।

প্রথমটি হল, নয়া চীনে বৃক্ষরোপণ দিবস চালুর ৪৫তম বার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের পঞ্চম জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ষষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১২ মার্চকে বৃক্ষরোপণ দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

দ্বিতীয়টি হল, এটি রাজধানীর ৪০তম বৃক্ষরোপণ দিবস। ১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে, বেইজিং এপ্রিল মাসের প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিকে রাজধানীতে বাধ্যতামূলক বৃক্ষরোপণ দিবস হিসাবে নির্ধারণ করে।

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেন। সিপিসির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে এ বছর তিনি ১২তম বার বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারে কাজ শুরু করার পর থেকে তিনি যথাক্রমে ১৭ বার এমন কার্যক্রমে অংশ নেন।

বৃক্ষরোপণে শুধু সবুজ চারা রোপণ করা হয় না, দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎও রোপণ করা হয়।

গত বছর শিশু দিবসের প্রাক্কালে, সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং বেইজিং ইয়ু ইং স্কুলে পরিদর্শনের সময় বলেছিলেন যে, নতুন যুগে পরিবেশগত সভ্যতার নির্মাণ শৈশব থেকেই শুরু করা উচিত, যাতে ‘সবুজ পাহাড় ও পরিচ্ছন্ন নদী মানে সোনার পাহাড় ও রুপার পাহাড়’, এমন চিন্তাধারা শিশুদের হৃদয়ে রোপণ করা যায়।

এবারের বৃক্ষরোপণ স্থলে সাধারণ সম্পাদক সি বলেন, তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের শ্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে, বৃক্ষরোপণ করতে হবে এবং শৈশব থেকেই হৃদয়ে সবুজের বীজ রোপণ করতে হবে।

এই বছরের বৃক্ষরোপণ স্থলে, সি চিন পিং বনায়নে চীনের অসাধারণ সাফল্য এবং বড় সমস্যাগুলো উল্লেখ করেছেন, সবুজায়ন এবং গাছ লাগানোর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন এবং দেশকে সবুজ করার একটি পরিষ্কার পথ নির্দেশ করেছেন।

তিনি বলেন, এ বছর নয়া চীনের বৃক্ষরোপণ দিবসের ৪৫তম বার্ষিকী। সারা দেশে জনগণ বনায়নে অটল থেকেছে, অনুর্বর পাহাড়কে সুন্দর দৃশ্যে পরিণত করেছে এবং মরুভূমিকে মরূদ্যানে রূপান্তরিত করেছে। সবার এ কৃতিত্ব বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

নয়াচীন প্রতিষ্ঠার শুরুতে, চীনের বনভূমির হার ছিল মাত্র ৮.৬ শতাংশ। বিভিন্ন পরিবেশগত প্রকল্পের মাধ্যমে এবং জনগণের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে, চীনের বনের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২৪.০২ শতাংশে।

দেশকে সবুজ করার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি কীভাবে করা যাবে? সি চিন পিং এবার বৃক্ষরোপণের সময় তার উত্তর দিয়েছেন: আমাদের একই সাথে সবুজের সম্প্রসারণ করতে হবে, সবুজের প্রচার করতে হবে এবং সবুজকে রক্ষা করতে হবে।

সবুজায়নের সম্প্রসারণ মানে বৈজ্ঞানিকভাবে বৃহৎ আকারের জমি সবুজায়নের প্রচার করা, সঠিক জায়গায়, সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে সঠিক গাছ ব্যবহার করা, যাতে প্রতিটি গাছ বেঁচে থাকে এবং সবুজ এলাকা তৈরি করা যায়।

সবুজকে প্রচার করার অর্থ হল গুণমান এবং দক্ষতার দিকে মনোনিবেশ করা, সবুজ জল এবং সবুজ পাহাড়কে সোনা ও রূপার পাহাড়ে রূপান্তরিত করার পথ প্রসারিত করা এবং পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুবিধার একীকরণ অর্জন করা।

সবুজ রক্ষা করার অর্থ হল বন ও ঘাসের সম্পদের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করা, আগুন প্রতিরোধ ও নির্বাপণে ভাল কাজ করা, গভীরভাবে তদন্ত করা, লুকানো বিপদগুলোর শনাক্ত করা এবং কঠোরভাবে সবুজায়নের অর্জনগুলোকে রক্ষা করা।

(শুয়েই/হাশিম/জিনিয়া)