সি-বাইডেন ফোনালাপের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন চীনা মুখপাত্র
2024-04-03 18:48:43

এপ্রিল ৩: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন আজ (বুধবার) বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে, চীন-মার্কিন নেতাদের ফোনালাপে রেন আই চিয়াও রিফ, হংকং, সিনচিয়াং এবং সিচাং (তিব্বত) প্রসঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

রেনআইচিয়াও রিফ সম্বন্ধে মুখপাত্র ওয়াং বলেন, ফোনালাপে চীন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জোর দিয়ে জানিয়েছে যে, নানশা দ্বীপপুঞ্জ এবং আশেপাশের সমুদ্রে চীনের অবিসংবাদিত সার্বভৌমত্ব রয়েছে। রেনআইচিয়াও রিফ সমস্যার মূল কারণ হল যে ফিলিপাইন অনেকবার তার প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে এবং রেনআইচিয়াও রিফে স্থায়ীভাবে অবৈধ দখল কায়েক করতে চীনের জনবসতিহীন দ্বীপে স্থায়ী ফাঁড়ি তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুর পক্ষ নয় এবং চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যকার কোনো ইস্যুতে দেশটির হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। চীনের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব এবং সামুদ্রিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার দৃঢ় ইচ্ছা ও সংকল্প রয়েছে।

হংকং ইস্যুতে মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন জোর দেন যে, হংকং মৌলিক আইনের ২৩ অনুচ্ছেদের আইনটি সম্পূর্ণ করা হলো বিশেষ এ প্রশাসনিক অঞ্চলের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব। হংকংয়ের বাসিন্দারা এবং সারা বিশ্ব থেকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় তা সহায়ক। এটি কোনওভাবেই আইন অনুসারে হংকংয়ের বাসিন্দাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে না।  যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হংকংয়ে চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আইনের শাসনকে সম্মান করা এবং হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

সিনচিয়াং এবং সিচাং ইস্যু সম্পর্কে ওয়াং ওয়েন বিন জোর দেন যে, এসব বিষয় চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। মানবাধিকার কোন দেশের পেটেন্ট নয়, এবং চীন মানবাধিকার সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। একটি দেশের মানবাধিকারের বিষয়ে, তার নিজের জনগণই বেশি সোচ্চার। পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে চীন মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক।, কিন্তু মানবাধিকারকে একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করার দৃঢ় বিরোধিতা করে বেইজিং।

(শুয়েই/হাশিম/জিনিয়া)