মার্চ ২৬: চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান চাও ল্য চি আজ (মঙ্গলবার) বেইজিংয়ে নাউরুর প্রেসিডেন্ট ডেভিড রানিবক আডিয়াং এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
জনাব আডিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে চাও ল্য চি বলেন, গতকাল দু’দেশের নেতা ঐতিহাসিক বৈঠক করেছেন এবং দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন রূপরেখা তৈরি করেছেন। চীন নাউরুর সঙ্গে নেতাদের মতৈক্য বাস্তবায়ন করা, রাজনৈতিক আস্থা জোরদার করা, বাস্তব সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে চায়। তিনি বলেন, চীন এখন সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়ন ও জাতির পুনরুত্থানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। যা নাউরুসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য উন্নয়নের সুযোগ আনবে। তাই নাউরুকে চীনের সঙ্গে সহযোগিতায় স্বাগত জানায় চীন। চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেস নাউরুর পার্লামেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের যোগাযোগ জোরদার করে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য সহায়ক আইনি নথি প্রণয়ন করা এবং সংস্কার, উন্নয়ন ও আইনগত নির্মাণের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চায়।
আডিয়াং বলেন, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা একটি দৃঢ় ও সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নাউরু চীনের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো, আইন প্রণয়ন সংস্থার আদান-প্রদান বিনিময় ঘনিষ্ঠ করা এবং জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব গভীরতর করতে চায়।
গুণবর্ধনের সঙ্গে বৈঠকের সময় চাও ল্য চি বলেন, চীন ও শ্রীলঙ্কার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছরে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তন হোক না কেন, দু’দেশের সম্পর্ক সবসময় সুষ্ঠু ও স্থিতিশীলভাবে উন্নত হয়েছে। চীন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রাজনৈতিক আস্থা জোরদার করবে, মূল স্বার্থ-জড়িত বিষয়গুলোতে পরস্পরকে সমর্থন দেবে, যৌথভাবে ‘বেল্ড অ্যান্ড রোড’ প্রতিষ্ঠা করবে, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ গভীর করবে এবং কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নত করবে। তিনি বলেন, আইন প্রণয়নকারী সংস্থার যোগাযোগ ও সহযোগিতা দু’দেশের জনগণের আস্থা ও বোঝাপড়া বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল। চীনা জাতীয় গণ-কংগ্রেস শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের সঙ্গে আদান-প্রদান বাড়াতে, বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করতে চায়, যাতে দু’দেশের বিভিন্ন পক্ষের সহযোগিতার জন্য আইনের মাধ্যমে রক্ষা হবে।
চীনের দীর্ঘমেয়াদী সমর্থন ও সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানান গুণবর্ধনে। শ্রীলঙ্কা একচীন-নীতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলবে, চীনা আইন প্রণয়নকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করবে এবং শ্রীলঙ্কা-চীন বন্ধুত্বে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে।
(তুহিনা/তৌহিদ)