বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় গণহত্যা দিবস
2024-03-25 15:36:30

মার্চ ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হচ্ছে ২৫ মার্চের জাতীয় গণহত্যা দিবস।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক ভয়াল রাত। এই কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের বেসামরিক জনগণের উপর অতর্কিতে বর্বর গণহত্যা চালায়। অপারেশন সার্চ লাইট নামের ওই হত্যাযজ্ঞে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শহীদ মিনার, পুরান ঢাকার বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়।

২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় জাতীয় সংসদে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ। ওই দিন থেকেই দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক বাণীতে বলেন, একাত্তরের বীভৎস গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়। তিনি গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেন, কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ সারা দেশে রাত ১১টা থেকে ১ মিনিট ‘প্রতীকী ব্ল্যাকআউট’বা নিষ্প্রদীপ পালন করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টায় গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হচ্ছে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।

শান্তা/ফয়সল