সিএমজিকে অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট হাও ম্যানুয়েল লুওরেন্সোর একান্ত সাক্ষাত্কার
2024-03-23 17:08:57

মার্চ ২৩: বসন্তের শুরুতেই অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট লুওরেন্সো চীন সফর করেন। তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও হীরা- মানে আঙ্গোলা। কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধের কষ্ট স্বীকারকারী দেশটির বর্তমান উন্নয়ন পথ, অ্যাঙ্গোলার আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ায় চীনের অবদান ইত্যাদি বিষয়ে প্রেসিডেন্ট লুওরেন্সো কথা বলেছেন। তিনি চীন সফরের সময় চীন-অ্যাঙ্গোলা সম্পর্ক ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখা এবং যৌথ ভবিষ্যত তৈরি করা নিয়ে সিএমজিকে এক সাক্ষাত্কার দিয়েছেন তিনি।

 

এবারের চীন সফরকালে প্রেসিডেন্ট লুওরেন্সো প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক এক বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় ইস্যু, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। এবারের আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠক অ্যাঙ্গোলা ও চীনের মৈত্রী ও সহযোগিতা গভীরতর করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, চীন সবসময়ই বিশ্বকে চমক দিতে পারে, কারণ চীনের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। অ্যাঙ্গোলা ও চীনের সহযোগিতা দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রতি বছর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার সম্মুখীন হয়ে চীন সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অ্যাঙ্গোলায় একটি কথা প্রচলিত, ‘একতা মানে শক্তি’। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যদের সাহায্য ছাড়া যে কোনো দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া প্রায়ই অসম্ভব। তাই এই বিশ্বে বড় বা ছোট দেশ হোক, আমাদের সহযোগিতা চালানো উচিত্।

এবারের চীন সফরে প্রেসিডেন্ট লুওরেন্সো চীনের শানতোং প্রদেশ পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি কৃষির চাষের প্রযুক্তির খোঁজখবর নিয়েছেন। কৃষি ও শস্য উত্পাদন খাতে অ্যাঙ্গোলা চীনের অভিজ্ঞতা শিখতে খুব আগ্রহী।

চীন ও অ্যাঙ্গোলার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪১ বছরে আর্থ-বাণিজ্যিক খাতে সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে। বিশেষ করে যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ইনিশিয়েটিভের কাঠামোতে দেশ দুটি চীন ও আফ্রিকার সহযোগিতা কারে পারস্পরিক কল্যাণ অর্জনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অ্যাঙ্গোলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘অ্যাঙ্গোলার অবকাঠামো নির্মাণে চীন আর্থিক সমর্থন দিয়েছে। চীনের বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিয়ে আফ্রিকান দেশগুলোতে সরাসরি পুঁজি বিনিয়োগ করেছে এবং আমরাও উপকৃত হয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত বছরের শেষ দিক থেকে চীন অ্যাঙ্গোলাসহ ৬টি দেশে ৯৮ শতাংশ পণ্যের উপর শূন্য-শুল্ক ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে। এটি শুল্ক বাধা-দানের বিপরীত নীতি এবং উন্মুক্তকরণের প্রতীক, ফলে আমাদের পণ্য চীনের মতো বড় বাজারে প্রবেশ করতে পারছে।’

 

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্থাপিত ‘গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ এবং গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ’ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট লুওরেন্সো বলেন, ‘কোনো একটি দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা না থাকলে উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। তাই বৈশ্বিক উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট সি’র উদ্যোগগুলো বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত হবে।’

লিলি/তৌহিদ