চীন ও অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম কূটনৈতিক ও কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত
2024-03-20 19:21:27

মার্চ ২০: চীন-অস্ট্রেলিয়া সপ্তম কূটনৈতিক ও কৌশলগত সংলাপ আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং বৈঠকে যোগ দেন।

ওয়াং ই বলেছেন যে, “তাঁর এবারের অস্ট্রেলিয়া সফর, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অস্ট্রেলিয়া সফর এবং চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সার্বিক  কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকী একসূত্রে গাঁথা। বিগত ১০ বছরে চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের উত্থান-পতন আমাদের মূল্যবান শিক্ষাগ্রহণের অভিজ্ঞতা দিয়েছে। সবচেয়ে মৌলিক বিষয় হল পারস্পরিক সম্মানের উপর জোর দেওয়া, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি হল অমিল পাশে রেখে, মিল খোঁজা, জয়-জয় সহযোগিতা এবং সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটি হল স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা।

ওয়াং ই আরও বলেন, চীন অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আদান-প্রদানের জন্য প্রস্তুতি নিতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত পরামর্শ ও সংলাপ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণরূপে পুনরায় চালু করতে এবং  পরিপূরক সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে খনি ও কৃষি পণ্যের মতো ঐতিহ্যগত সহযোগিতার ভিত্তিতে নতুন শক্তি, ডিজিটাল অর্থনীতি, সবুজ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনাকে গভীরভাবে বিকাশ করতে ইচ্ছুক। চীন আশা করে যে অস্ট্রেলিয়া বাজার অর্থনীতির নীতি এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতার নিয়ম রক্ষা করার জন্য বাস্তব  ব্যবস্থা নেবে এবং চীনা কোম্পানিগুলিকে অস্ট্রেলিয়ায় বিনিয়োগ ও পরিচালনা করার জন্য একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন ব্যবসার পরিবেশ প্রদান করবে।

পেনি ওয়াং বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া ও চীন ইতিহাস, বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং অন্যান্য দিক থেকে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত রয়েছে। দুই পক্ষ সার্বিক কৌশলগত অংশীদার এবং একই অঞ্চলে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্কে মতভেদ মূলধারা নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অগ্রগতি দেখে অস্ট্রেলিয়া খুব খুশি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে চীনের সাথে সংলাপ এবং যোগাযোগ আরও জোরদার করতে, বিচক্ষণতার সাথে পার্থক্যগুলো নিরসন করতে, পরিপূরক সুবিধা কাজে লাগিয়ে, ক্রমাগত অর্থনীতি, বাণিজ্য, মানুষে মানুষে এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীর করতে ইচ্ছুক। যাতে অস্ট্রেলিয়া-চীন সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হয় এবং উভয় দেশের জনগণ এবং আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক হয়।

(স্বর্ণা/হাশিম/ছাই)