বীজ শিল্পে এগিয়ে যাচ্ছে চীন
2024-03-15 15:21:30

মার্চ ১৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: পূর্বচীনের শানতোং প্রদেশের শোওকুয়াং সিটিতে গড়ে উঠেছে বীজ শিল্প। এখানে সবজির চাষে ব্যবহার হচ্ছে এই দেশীয়ভাবে উৎপাদিত বীজ।

গ্রিন হাউজের ভিতরে তরতাজা সবজি। টমেটোর বিভিন্ন জাত বেশ ভালো ফলন দিয়েছে। কৃষকরা সংগ্রহ করছেন এসব টমেটো। এগুলো এখন ট্রাকে উঠছে। চলে যাচ্ছে বাজারে। পূর্বচীনের শানতোং প্রদেশের শোওকুয়াং সিটি। এখানে গড়ে উঠছে দেশীয়ভাবে উৎপন্ন বীজ শিল্প।

ইয়িন চিনহুয়া একজন স্থানীয় কৃষক। তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৩ সাল থেকে গ্রিনহাউজে সবজি ফলানো শুরু করি। সেসময় আমি যেসব বীজ ব্যবহার করতাম তার বেশিরভাগই ছিল বিদেশ থেকে আমদানি করা। অল্প কিছু ছিল দেশীয়ভাবে উৎপন্ন। ২০২০ সালে দৃশ্যপট পুরো বদলে গেছে। আমি এখন দেশীয়ভাবে উৎপন্ন বীজই বেশি ব্যবহার করছি। গেল চার বছর ধরেই আমি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন বীজ থেকে সবজি ফলাচ্ছি।’

চীনে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশীয়ভাবে বীজ উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে। বীজশিল্প খাত দ্রুত উন্নতি করছে। চীনে সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয় শোওকুয়াংয়ে। এটি সবজির জন্য দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার।

 শোওকুয়াংয়ের সবজি চাষে ব্যবহৃত ৭০ শতাংশ বীজই দেশীয়ভাবে উৎপন্ন। ১৯৯০ এর দশকের তুলনায় দৃশ্যপট পুরোই অন্যরকম। তখন আমদানি নির্ভরতা ছিল বেশি। এখানে বীজশিল্পে স্বনির্ভরতা অর্জন শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিভাবান ব্যক্তি ও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করা হয়।

বর্তমানে এখানে ১৫টি সবজিবীজ উৎপাদনকারী কোম্পানি আছে এবং দুইশর বেশি ধরনের বীজ উৎপাদিত হচ্ছে।এখানে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, চলছে নিরন্তর গবেষণা।

 শানতোং শোওকুয়াং ভেজিটেবল সিড ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপের জ্যেষ্ঠ কৃষিবিজ্ঞানী ইয়ু ছাইইয়ুন। তিনি বলেন, ‘ প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো আমাদের সংগৃহীত বীজগুলো গ্রিনহাউজে বপন করা এবং তা থেকে চারা গজানো। আমরা এমন বীজ বাছাই করি যেগুলোর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, চারার সংখ্যা বেশি এবং মানও ভালো। এরপর যেগুলোর অবস্থা ভালো সেগুলোর মধ্যে ক্রস-ব্রিডিং করা হয়। ক্রসব্রিডিংয়ের সময় হাজারো বিকল্প বাছাই করা হয়। এরপর আমরা অল্পসংখ্যক উচ্চমানের বীজ নিয়ে পরীক্ষা চালাতে থাকি। ’

মেধাবী গবেষকরা নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা এই শহরকে চীনের সবজিবীজ শিল্পের সূতিকাগারে পরিণত করতে চাচ্ছেন। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে চীনের বৃহত্তর লক্ষ্য হলো বীজশিল্পে স্বনির্ভর ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠা।