যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতার প্রকৃত অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত
2024-03-14 18:36:11

মার্চ ১৪: "যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘বাকস্বাধীনতা’র প্রকৃত অবস্থা" নিয়ে প্রতিবেদনটি আজ (বৃহস্পতিবার) প্রকাশ করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্র কেমন বাক স্বাধীনতাকে "বাকস্বাধীনতা" হিসাবে উল্লেখ করে- তা জানানোর জন্য প্রতিবেদনে প্রচুর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে; যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বিশ্বে "বাকস্বাধীনতার" দাবি করে, কিন্তু দেশটি আসলে কী করে এবং তার আসল উদ্দেশ্য কি? এসব তথ্য তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনে কিছু উদাহরণ দেওয়া হয়। প্রথমত, মার্কিন বাকস্বাধীনতা তার নামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ২০২২ সালে, নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের যৌথভাবে পরিচালিত এক জাতীয় জরিপে দেখা যায় যে, জরিপকৃতদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ বিশ্বাস করেন না যে, আমেরিকানরা বাক স্বাধীনতা উপভোগ করে এবং তাদের মধ্যে ৮ শতাংশ  বিশ্বাস করে যে আমেরিকানদের কোন বাকস্বাধীনতা নেই।

 

দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রে নিজ দেশে বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। মার্কিন সরকার মহামারীর সময় সত্য কথা বলা কণ্ঠস্বর দমন করেছিল। উদাহরণস্বরূপ, হেলেন চু নামের এক চীনা নারী ডাক্তার- যিনি যুক্তরাষ্ট্রকে মহামারী সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন এবং তার পরীক্ষার ফলাফলের কথা জানিয়েছিলেন, কর্তৃপক্ষ তাকে মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল।

 

তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশের বাকস্বাধীনতাও নিয়ন্ত্রণ করে। বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশাদার র‌্যাঙ্কিং থেকে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারকে মার্কিন মিডিয়া উচ্চশিক্ষা দমনকারী অত্যাচারী আচরণ বলে উল্লেখ করে। অন্যদিকে, কিছু চীনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের র‌্যাঙ্কিং থেকে প্রত্যাহার করাকে চীনের "বন্ধ দরজা" হিসাবে ব্যাখ্যা করে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতা দেশীয় রাজনীতিবিদ এবং স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য এক ধরনের বিষয়; কিন্তু, সাধারণ মানুষের জন্য ভিন্ন বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিবেদন জারি করেছে, যা ভিত্তিহীনভাবে অন্য দেশগুলোকে ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে। যাই হোক, যুক্তরাষ্ট্র হল মিথ্যা তথ্যের উত্স দেশ।

(শুয়েই/তৌহিদ/আকাশ)