গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় চীন
2024-03-06 15:36:42

মার্চ ৬: গতকাল (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভাষায় গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করা এবং সংঘর্ষ বন্ধ করার আহ্বান জানায় চীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি কেং শুয়াং গতকাল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহারের বিষয়ে এ কথা বলেছেন।

গাজায় সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর প্রায় পাঁচ মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির দাবির প্রতি যুক্তরাষ্ট্র চারবার বাধা দিয়েছে। এতে চীন গভীর হতাশা ব্যক্ত করে। পরিষদের ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিষদ সদস্য একমত হয়েছে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একচেটিয়াভাবে তার ভেটো ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং নিরাপত্তা পরিষদের ঐকমত্যকে আটকে দিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক সমাজে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের রক্ষা করা, মানবিক ত্রাণ এবং সংঘর্ষের তীব্রতা প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। রমজান মাস আসছে। আন্তর্জাতিক সমাজকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করা এবং সংঘর্ষ বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে, গাজা উপত্যকার নাগরিকদের জীবনের আশা দেখাতে হবে। ইসরায়েলকে রাফাহে আক্রমণ করার পরিকল্পনা, গাজায় সশস্ত্র অভিযান এবং ফিলিস্তিন নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানায় চীন।

তিনি বলেন, গাজায় জীবন ধারণের সরঞ্জামের চরম ঘাটতি আছে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দখলদার শক্তি ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, পর্যাপ্ত মানবিক সরবরাহের নিরাপদ, দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, মানবিক সংস্থা ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানায় চীন। নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক রেজুলেশন বাস্তবায়নের জন্য জোর দেয় চীন।

কেং শুয়াং বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা সমাধানের একমাত্র সম্ভাব্য উপায় ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’। কিছু ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র অর্জনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এটা মর্মান্তিক। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা, একটি বিশ্বাসযোগ্য বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়ার পুনর্নির্মাণ, ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধান’ এর রাজনৈতিক সম্ভাবনা পুনরুজ্জীবিত করা, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরু করা এবং বৃহত্তর আকারে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব করেছে চীন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে সমর্থন দেয় চীন। গাজায় যুদ্ধ থামানো, মানবিক বিপর্যয় প্রশমিত করা, ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধান’ বাস্তবায়ন করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে কাজ করবে চীন।

(অনুপমা/তৌহিদ)