বইমেলা নিয়ে যতো কথা
2024-02-22 21:26:44

ফেব্রুয়ারি ২২, ঢাকা : বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা। আর এই ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এই মাস জুড়েই চলে অমর একুশে বইমেলা। স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলার সঙ্গে এই মেলার আছে বিশেষ সম্পর্ক।  

বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রাণের এই উৎসব। প্রতিবছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বাংলা একাডেমির আয়োজনে ফেব্রুয়ারিজুড়ে অনুষ্ঠিত হয় বইমেলা। এবার ইংরেজি ক্যালেন্ডারে চলছে অধিবর্ষ। তাই মেলা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

বাংলাদেশের বইপ্রেমীরা সারা বছর অপেক্ষা করেন এই মেলার জন্য। কারণ এ সময়টাতেই লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের মিলনমেলা জমে ওঠে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণের নেশায় দলে দলে ছুটে আসেন বইপোকারাও।

কিন্তু এই প্রযুক্তির যুগে দাঁড়িয়ে কাগজে ছাপা বইয়ের গুরুত্ব কমছে না তো? মেলায় তরুণদের আনাগোনা অনেক বেশি থাকলেও প্রকৃত পাঠকের সংখ্যা কম। তবে কেউ কেউ বলছেন, মোবাইলের স্ক্রিনে ই-বুক পড়ার চেয়ে সরাসরি বই পড়ার আনন্দটাই বেশি। 

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে নানা বয়সী মানুষের দেখা মিলে। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সন্তানদের মেলায় নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন তারা।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণদের বেশি বেশি বইমুখী করতে হলে ভালো বিষয়বস্তুর ওপর ভালো লেখকদের মানসম্মত বই প্রকাশ করতে হবে। 

এদিকে, মেলায় এবারও বাংলা ভাষায় বেশ কয়েকটি চীনা বই প্রকাশিত হয়েছে। চীনা ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাস ভিত্তিক এসব বই তাম্রলিপি, অ্যাডর্ন এবং পরিবারসহ বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে এসব বই প্রকাশিত হয়েছে।  

চীনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যৌথভাবে দুই দেশের বই প্রকাশের কাজ চলছে বলে জানান, গেল বছর চীন ঘুরে আসা এই অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসাইন। 

সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্যমতে, এবারের বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমির মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

ঐশী/ফয়সল 

তথ্য ও ছবি: সিএমজি বাংলা