ফেব্রুয়ারি ২১, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে গবেষণায় প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ হচ্ছে চীন। চীনের গবেষণাগারে সাবমেরিনের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকার তলদেশ থেকে সংগৃহীত নমুনার মজুতও বাড়ছে। এতে করে রহস্যে ঢাকা অঞ্চলটির ভূতাত্ত্বিক ও সমুদ্রবিজ্ঞানের অনেক অজানা বেরিয়ে আসবে অচিরেই।
চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ফাস্র্ট ইনস্টিটিউট ওশেনোগ্রাফির সংরক্ষণাগারটি এখন অ্যান্টার্কটিকা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক অঞ্চল থেকে সংগৃহীত পলিমাটির নমুনায় ভরপুর। গবেষকরা এই নমুনার সিলিন্ডারগুলোকে বলছেন ‘অদৃশ্য গোপন লিপি’, যার পাঠোদ্ধার সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এগুলোকে অদৃশ্য লিপি বলার কারণ ব্যাখ্যা করে ফার্স্ট ইন্সস্টিটিউটের গবেষক সিয়ং চিফাং বলেন, এই পলির নমুনাতে থাকতে পারে জীবের দেহাবশেষ। থাকতে পারে বিশেষ রাসায়নিক গঠন এবং কিছু পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্য। এ তথ্যগুলো সুপ্রাচীনকালের অ্যান্টার্কটিকার জীবন ও পরিবেশের বিবর্তনের তথ্যও রেকর্ড করে রেখেছে বলে জানান চীনা ভূতাত্ত্বিকরা।
বিভিন্ন আকৃতির নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে অ্যান্টার্কটিকের সমুদ্রতল থেকে। এমনকি সাগরের প্রায় চার কিলোমিটার গভীর থেকেও সংগ্রহ করা হয় অনেক নমুনা।
গবেষকরা এগুলোর রং ও কাঠামো পরীক্ষা করে বের করতে পারছেন উপাদানগুলোর বয়স। এর মধ্যে প্রাচীন এককোষী জীব ফোরামিনিফারেরও সন্ধান পেয়েছেন সিয়ং ও ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির গবেষকরা।
-ফয়সল/শান্তা
তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি।