মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস নিয়ে নীতিমালা চীনে
2024-02-20 17:57:43

ফেব্রুয়ারি ২০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের যোগাযোগ ঘটিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে আসছে নতুন সব আবিষ্কার। ব্রেইন-টু-কম্পিউটার ইন্টারফেস, সংক্ষেপে যাকে বলে বিসিআই; সেটা নিয়ে গবেষণায় বেশ এগিয়েছে চীন। মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর অঙ্গ নড়াচড়ার গবেষণাতেও সম্প্রতি সাফল্য পেয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তবে এ গবেষণার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু নীতি নৈতিকতার প্রশ্ন। আর তাই ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস নিয়ে দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জারি করেছে কিছু নির্দেশিকা। ওই মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা সংক্রান্ত একটি উপ-কমিটি দিয়েছে এ সংক্রান্ত ৬টি নির্দেশনা।

এতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের গবেষণাকে হতে হবে সহনশীল ও ক্ষয়ক্ষতিবিহীন। গবেষণার মৌলিক উদ্দেশ্য হতে হবে মানুষের সংবেদনশীল মোটর ফাংশনগুলোর সহায়তা করা, বা মানব-কম্পিউটার জৈবিক যোগাযোগের সক্ষমতা বাড়ানো।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারীরা তাদের ওপর পরিচালিত গবেষণার বিস্তারিত সম্পর্কে অবগত থাকবেন এবং এ কাজে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারকেও সম্মান দেখাতে হবে। 

এতে বলা হয়েছে, যে রোগগুলো জীবন বিপন্ন করে তোলে এবং যেগুলোর কার্যকর কোনো চিকিৎসা নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রেই জাতীয় চিকিৎসাবিধি মেনে রোগীর সম্মতিতে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস গবেষণা পরিচালিত হতে পারবে।

বিসিআই গবেষণায় উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। উভয় দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। অনেকে এই ধরনের গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু ঝুঁকির কথা বলেছেন। আর তাই চীন ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস গবেষণায় নৈতিকতার মানদণ্ড অক্ষুণ্ন রাখতেই জারি করেছে এ নির্দেশিকা। এতে মূলত রোগীর সম্মতি, গোপনীয়তা, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা, ঝুঁকি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণসহ আরও কিছু বিষয়ে সীমারেখা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

-ফয়সল/রহমান

তথ্য ও ছবি: চায়না ডেইলি।