চীনা অনলাইন-সাহিত্যে ঝুঁকছে বিশ্বের পাঠক
2024-02-15 17:13:28

ফেব্রুয়ারি ১৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বিশ্বে চীনা সাহিত্যের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আর এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে দেশটির অনলাইন প্লাটফর্মগুলো। গতবছরের শেষের দিকে চায়না অডিও-ভিডিও এবং ডিজিটাল পাবলিশিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২২ সালে চীনের অনলাইন সাহিত্যের বাজারে আয় ছিল তিন হাজার ১৭৮ কোটি ইউয়ান (প্রায় ৪৪৭ কোটি ডলার)। এর আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে বিদেশি পাঠকরা চীনা সাহিত্য পড়তে খরচ করেছেন প্রায় ৪০৬ কোটি ইউয়ান। এটিও এর আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।

 

সম্প্রতি চীনের সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ঘিরে বিদেশি লেখকদের আগ্রহ বাড়ছে। তাদের লেখা গল্প থেকে তৈরি হচ্ছে টিভি সিরিজ। এ তালিকায় আছে ‘দ্য জার্নি অব ফ্লাওয়ার’ ও ‘এমপ্রেসেস ইন প্যালেস’-এর মতো নামকরা কিছু ওয়েব-উপন্যাস।

চায়না অডিও ভিডিও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনা লেখকদের গল্প উপন্যাস এখন ৪০টিরও বেশি দেশে কমপক্ষে ২০টি ভাষায় অনূদিত হচ্ছে। চায়না লিটারেচার লিমিটেডের ওয়েবসাইট ওয়েবনভেল ডট কমে ভিজিট করেছেন এ পর্যন্ত ৯ কোটি ব্যবহারকারী। যেখানে চীনকে নিয়ে বিদেশি লেখকদের লেখা গল্প আছে ৬ লাখেরও বেশি।

 

২০২২ সালে, যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে সংযুক্ত হয়েছিল ১৬টি চীনা ওয়েব উপন্যাস। এর মধ্যে ছিল গ্রেট ডক্টর লিং রান এবং গ্রেট পাওয়ার, হেভি ইন্ডাস্ট্রির মতো কিছু জনপ্রিয় বই।

চায়না লিটারেচার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হৌ সিয়াওনান জানালেন, গত ২০ বছরে অনলাইন ভক্তদের একটি বড় ভিত্তি তৈরি করতে পেরেছে চীনের ওয়েব-সাহিত্য। এমনকি অনেকেই একে সাহিত্য জগতের বিস্ময়ও বলছেন।

অনলাইন সাহিত্যকে ঘিরে চীনে বড় মাপের প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠছে এখন। চায়না অনলাইন লিটারেচার গ্রুপের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ইয়াং রুইচি জানালেন, চীনের অনলাইন সাহিত্যে বেশি চলছে এখন থ্রিলার, শহুরে জীবনকে ঘিরে গল্প এবং সায়েন্স ফিকশন। ইয়াং আরও বললেন, অনেক বিদেশি লেখক চীনকে নিয়ে সাহিত্য রচনায় সরাসরি চাইনিজ চরিত্রই বেছে নিচ্ছেন। তাদের অনেকের গল্পেই চীনের হাইস্পিড ট্রেন ও থিয়ানকং মহাকাশ কেন্দ্রের প্রসঙ্গে উঠে আসে।

 

চায়না রাইটার অ্যাসোসিয়েশনের গবেষক সিয়াও চিংহং জানালেন, বিদেশের বাজারে চীনের অনলাইন সাহিত্যের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে চীনকে জানার ব্যাপারে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ তৈরি হচ্ছে। এসব ওয়েব উপন্যাসের মাধ্যমে, বিদেশি পাঠকরা চীনা সাংস্কৃতিক উপাদান এবং অধ্যবসায়, সম্প্রীতি এবং সহযোগিতার মতো মূল্যবোধ সম্পর্কেও শিখছে বলে তিনি মনে করেন।

 

ফয়সল/শান্তা