হারবিন উৎসব দেখে মুগ্ধ ব্রিটিশ ভ্লগার লি ব্যারেট
2024-01-24 14:37:30

 

জানুয়ারি ২৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: রূপকথার তুষার রানীর দেশ বলে মনে হলেও , বাস্তবে এটি হলো উত্তর পূর্ব চীনের হেইলংচিয়াং প্রদেশের হারবিন সিটি। হারবিন আইস আ্যান্ড স্নো ওয়ার্ল্ড থিম পার্ক। চলছে তুষার বরফ ভাস্কর্যের চোখ ধাঁধানো প্রদর্শনী। তুষার-বরফে গড়া এই রূপকথার রাজ্য থেকে দারুণ অবাক ব্রিটিশ ভ্লগার লি ব্যারেট। তিনি বলেন, ‘এটা অসাধারণ, বিস্ময়কর, আমি এখানে গত তিনদিন দিনের বেলাতে এসেছি। আমি জানি না তারা কিভাবে এই ধরনের জিনিস বানিয়েছে। এটা একেবারে অন্য স্তরের কাজ। একদম মাথা খারাপ করা। অসাধারণ সুন্দর। আমি এত মজা পাচ্ছি যে ঠান্ডাও বোধ করছি না। এত বিশাল। সত্যি জানি না কিভাবে তারা এত বিশাল সব স্থাপনা তৈরি করেছে। অবিশ্বাস্য।’

এখানে বরফ কেটে তৈরি করা হচ্ছে কিউব। কিউব দিয়ে বরফের স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। সিমেন্টের কাজ করছে তুষার। স্থাপনার ভিতরে এলইডি লাইটের মাধ্যমে পুরো ভাস্কর্য ও স্থাপনা আরোয় ঝলমল করে তোলা হয়।

লি ব্যারেট বলেন, ‘প্রতিটির ভিতরে এলইডি লাইটের ব্যবস্থা। তার লাগানো আছে। আমাকে বলতেই হচ্ছে যে এধরনের কোনকিছু আমি এই প্রথম দেখছি। সম্ভবত এখন মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। কিন্তু আমি এত উত্তেজনা বোধ করছি যে মোটেই শীত লাগছে না। আমি দারুণ মুগ্ধ। কিভাবে তারা এত বড় বড় বরফের ব্লক দিয়ে এগুলো তৈরি করেছে। সত্যিকার অর্থে তারা বরফ দিয়ে একটা শহর বানিয়েছে। রীতিমতো অবিশ্বাস্য। বরফ দিয়ে এগুলো বানালো কিভাবে। এটা সত্যিই সব রকম অভিজ্ঞতার বাইরে।’

লি ব্যারেট ১৭ বছর ধরে চীনে বাস করছেন। প্রথমবারের মতো তিনি এই রূপকথার তুষার রাজ্য দেখতে এসেছেন। প্রতিবছরই এই বরফ তুষার উৎসবে দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক আসেন। তারা একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে এই উৎসব উপভোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অনেকবার ভিডিওতে দেখেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি এখানে আসতে পেরেছি। এটা সত্যিই খুব আগ্রহোদ্দীপক। আপনি যা ভাবছেন এটা তারচেয়েও অনেক ভালো। আপনাকে এখানে আসতেই হবে।সত্যিই  অপূর্ব সুন্দর। আমি এই মুগ্ধতা প্রকাশ করতেই থাকবো। যে পরিমাণ শ্রম ও মেধা দিয়ে এটা তৈরি হয়েছে তা সত্যিই সব ধারণার বাইরে।’

পর্যটকরা এই তুষার রাজ্যের অপূর্ব সৌন্দর্যে মুগ্ধ ও আনন্দিত।

শান্তা/রহমান