জানুয়ারি ১৯, ঢাকা: পাখি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পাখ পাখালি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় 'পাখিমেলা ২০২৪।'

'পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন’ স্লোগানকে ধারণ করে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গনে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

দিনব্যাপী এ মেলায় ছিল  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র ও পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা (অডিও ও ভিডিও এর মাধ্যমে) ও পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সব শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্ব।

এছাড়া বিগত এক বছরে গণমাধ্যমে পাখি ও জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ এবং বিগত এক বছরে বাংলাদেশের পাখির ওপর সায়েন্টিফিক জার্নাল, প্রকাশিত প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে ‘সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড’, এবং বিগ বার্ড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

মেলায় বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুরতে আসা তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মিফতাউল হক মিতু সিএমজি বাংলাকে বলে, 'আমি বাবা মায়ের সঙ্গে ঢাকা থেকে পাখি দেখতে এখানে এসেছি। আমি আজ সারাদিন ঘুরে ঘুরে পাখি দেখবো।'

এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, 'পাখি সংরক্ষণে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতিবছর এ আয়োজন করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি পাখির আবাসস্থল এবং বিচরণ ক্ষেত্রগুলো রক্ষা করতে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির বসবাস উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। এই পরিবেশ ধরে রাখার দায়িত্ব সবার।

২৩তম বারের এই মেলার আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি, আইইউসিএন এবং বাংলাদেশ বন বিভাগ।

উল্লেখ্য, পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০১ সাল থেকে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিকভাবে পাখি মেলার আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।

শুভ/শান্তা