চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান মার্কিন ব্যবসায়ীর
2024-01-17 18:51:19

জানুয়ারি ১৭, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একটি মিথোজীবী জুটি এবং এ সম্পর্কের রূপ বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় বড় প্রভাব ফেলে।’ মার্কিন উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী মিশেল এ. প্রেসনিক বলেছেন এ কথা। গত ৫ জানুয়ারি বেইজিংয়ে চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে (সিজিটিএন) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রেসনিক।

প্রেসনিক আরও বলেন, “চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কটাকে ‘আমি চাইনিজ’ বা ‘আমি আমেরিকান’ এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা সহজ৷ কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এখন মিথোজীবী সম্পর্কের দুটি অংশ৷ এর অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র যাই করুক না কেন, চীনাদের দৃষ্টিতে তা ভাল বা খারাপ হলে শেষতক সেটার প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রে পড়বে। একইভাবে চীনও এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে যাই করুক না কেন, তা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রভাবিত করলে পরে তা চীনকেও প্রভাবিত করবে।“

প্রেসনিক বলেন, ‘১৯৭০ সালের পর গড়ে ওঠা পিং পং কূটনীতির গোড়ার দিকে তাকালে আমরা বুঝতে পারব, পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রগুলোতে নজর দিলে তা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানোর পাশাপাশি এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি পিং পং কূটনীতির মাধ্যমে শুরু হয়েছিল৷ আমার কাছে এখনও পিং পং কূটনীতির ৩০তম বার্ষিকীতে তিয়াওইউথাইতে (বেইজিংয়ের) ড. কিসিঞ্জারের স্বাক্ষর করা একটি পিং পং প্যাডেল রয়েছে, যা তিনি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন। আমি মাঝে মাঝে নিজেকে এটি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য প্যাডেলটি দেখি যে, সম্পর্কটি খুব নম্র এবং ক্ষুদ্র একটি বিনিময়ের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যেখানে আমরা একটা কিছুতে একমত হতে পারি। এখন যদি আমরা অন্য কিছুতে একমত হতে নাও পারি, অন্তত পিং পং-এর বেলায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবো এবং আমি মনে করি এই মুহূর্তে অন্তত এমন একটি পদক্ষেপ খারাপ কিছু নয়।’

সাক্ষাৎকারে প্রেসনিক বলেন, ‘আমি মনে করি উভয় দেশেরই বিশ্বের কাছে একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। কারণ মার্কিন-চীন সম্পর্ক স্থিতিশীল ও সুরক্ষিত না হলে বাকি বিশ্বের নিরাপদ বোধ করার উপায় নেই।’

-ফয়সল/হাশিম

তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি।