চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতায় নজর পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূতের
2024-01-14 18:44:44

জানুয়ারি ১৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বেইজিংয়ে নিযুক্ত পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত খলিল হাশমি বলেছেন, তিনি তার দেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে কাজ করবেন। গত বছরের নভেম্বরে চীনে পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন হাশমি।

চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএন) সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে হাশমি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিশাল চীনা বাজারের বিষয়ে ভবিষ্যতের কাজ এবং চিন্তাভাবনাগুলো নিয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘শুরুতে, আমি আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছি অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্পর্কের উপর। এ ছাড়াও দু'দেশের সম্পর্কে আরও বেশ কিছু মাত্রা রয়েছে, যেমন রাজনৈতিক মাত্রা, কূটনৈতিক, কৌশলগত মাত্রা, প্রতিরক্ষা, মানুষে মানুষে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক মাত্রা।’

চীনের বড় বাজার এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের উত্থানের কথা উল্লেখ করে হাশমি বলেন, পাকিস্তান চীনের সঙ্গে শিল্প সহযোগিতায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশের জন্য চীন একটি বড় বাজার। পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, গত বছরে, পাকিস্তান এবং চীন পাঁচটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেছে, যা মূলত কৃষিক্ষেত্র ও দুগ্ধজাত পণ্যের বিষয়ে। কিন্তু এর বাইরেও আমরা শিল্প সহযোগিতা, শিল্প স্থানান্তর বিষয়েও চীনের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’

পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক চীনা কোম্পানি এবং অন্যান্য অংশীদারদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন হাশমি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইতিমধ্যে তিনটি বন্দর রয়েছে, গোয়াদর, করাচি এবং কাসিম। তাই সেখানে চীনা কোম্পানিগুলির জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা স্থাপনের, এবং তারপরে পণ্যগুলো তৈরি করা যা আফ্রিকার বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে। সুতরাং চীনা উদ্যোগে পাকিস্তানে উৎপাদিত পণ্যগুলো ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাতে রপ্তানি করা যেতে পারে।’

হাশিম/শান্তা

তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি।