জানুয়ারি ৩, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: নববর্ষের দিনে জাপানে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ৬০ জনের বেশি নিহত হওয়ার ঘটনা এবং মঙ্গলবার টোকিওর হানেদা বিমান বন্দরে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে প্রয়োজনীয় সবরকম সহায়তা প্রদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের এই সমবেদনা ও সদিচ্ছার কথা জানান।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো চীনা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং চীন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের নোটো অঞ্চলে একাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। পরিস্থিতির সম্পূর্ণ অবস্থা এখনও জানা যায়নি কারণ ধ্বংসস্তূপ ও বিচ্ছিন্ন সড়কের ফলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
হিমায়িত বৃষ্টি এবং ভূমিধসের সতর্কতার মধ্যে উদ্ধারকারীরা যখন বেঁচে থাকা লোকদের সাহায্যের জন্য ছুটে আসছে সেসময় মঙ্গলবার টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের সাথে ভূমিকম্পের জায়গায় মিশনে থাকা একটি জাপানি কোস্টগার্ড বিমানের সংঘর্ষ হয়।
ছোট বিমানটিতে থাকা ছয়জনের মধ্যে একজন বাদে সবাই নিহত হয়, তবে মঙ্গলবার গভীর রাতে এয়ারবাসটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে জাপান এয়ারলাইন্সের ৩৭৯ জন যাত্রী এবং ক্রু জরুরী স্লাইড দিয়ে রক্ষা পান।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পরে বলেন যে দুর্ঘটনাটি দুর্যোগের ত্রাণ কাজে কোনও প্রভাব ফেলবে না এবং এলাকায় ত্রাণ সরবরাহের কাজ এগিয়ে চলেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, সংঘর্ষে কোনো চীনা নাগরিক আহত হয়নি এবং জাপানে চীনা দূতাবাস ১৪ জন হংকং পর্যটকের সাথে যোগাযোগ করেছে যারা ওই যাত্রীবাহী বিমানটিতে ছিল।
ওয়াংবলেন, "আমরা দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি আমাদের শোক এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাই।"
শান্তা/হাশিম