চীনের গণমাধ্যমে বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ৫৫তম বর্ষ উদযাপিত
2024-01-02 15:49:28

ঢাকা, জানুয়ারি ১:  চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ৫৫তম বর্ষ উপলক্ষ্যে সোমবার  ঢাকায় এক উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

দীপ্ত টিভির কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘হ্যালো চায়না’ শিরোনামের এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে যোগ দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের শারজেই ড্যাফেয়ার (Charge d'affaires) ইয়ান হুয়ালং। 

 

উদযাপনের অংশ হিসাবে এক নিউ ইয়ার কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়, যেখান সংগীত পরিবেশন করেন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী তাহসান (তাহসান রহমান খান) এবং জনপ্রিয় রক ব্যান্ড চিরকুটের শারমিন সুলতানা সুমি ও অন্য সদস্যরা।

 

অনুষ্ঠানে ভিডিওর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) আফ্রিকান ও এশিয়ান কেন্দ্রের পরিচালক আন সিয়াও ইয়ু এবং বেইজিং থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানে যোগ দেন সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান।

 

এ আয়োজন উপলক্ষ্যে বাণী দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, যেখানে তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আদান-প্রদানে বৃদ্ধিতে চীনা গণমাধ্যমে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠানের অবদানের প্রশংসা করেন। এ গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মী ও কলাকুশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা কেবল ইতিহাসের সাক্ষী নন, ইতিহাস নির্মাণকারীও।”

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, চীন বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিকাশে বন্ধুপ্রতীম দেশটির অবদান অনস্বীকার্য। সিএমজি বাংলা বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মিডিয়া ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান এবং আশা প্রকাশ করেন দুদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে এ ক্লাব।

 

সিএমজির আফ্রিকান ও এশিয়ান কেন্দ্রের পরিচালক আন সিয়াও ইয়ু বলেন, চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণের স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের জনগণের ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্নের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে এনেছে – একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিএমজি দু’দেশের মধ্যে মিডিয়ার সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে এবং চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে দুদেশের সর্বস্তরের বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করবে।

 

কাজী জাহেদুল হাসান জানান, ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে আদান-প্রদান বাড়ানোর উদ্যোগ নেবেন তারা।

 

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন রেডিও পিকিংয়ের মাধ্যমে। রেডিও পিকিংয়ের নাম বদলে পরে হয় রেডিও বেইজিং এবং তারপর চীন আন্তর্জাতিক বেতার (চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল-সিআরআই)। ২০১৮ সালে চীন আন্তর্জাতিক বেতার এবং আরও ৩টি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম – চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি), চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) এবং চায়না ন্যাশনাল রেডিও (সিএনআর) – নিয়ে গঠিত হয় সিএমজি।

 

বাংলাদেশ ও চীনের গণমাধ্যমগুলোর যোগাযোগ ও আদান-প্রদান আরও বাড়াতে চায়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলা বিভাগ চলতি বছরে বাংলাদেশ-চীন মিডিয়া ক্লাব প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

 

রহমান/শান্তা