আরসিইপি’র সার্বিক কার্যকর অনিশ্চিত বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা
2023-06-06 10:51:06

২০২৩ সালের ২ জুন, ‘আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি’ (আরসিইপি) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিপিন্সের জন্য কার্যকর হয়েছে। ১০টি আসিয়ান দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ ১৫টি স্বাক্ষরকারী দেশের জন্য আরসিইপি’র ব্যাপকভাবে কার্যকর হওয়া চিহ্নিত হলো। আরসিইপি কার্যকর হওয়া আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা যোগাবে, পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উদারীকরণ এবং সুবিধার স্তর ব্যাপকভাবে উন্নত করবে এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদী ও স্থিতিশীল উন্নয়নে সাহায্য করবে।

 

২০২২ সালের শুরুতে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার সময় ১০টি দেশ একটি গোষ্ঠী গঠন শুরু করে। এরপর ১৫টি দেশ যৌথ পরিবার গঠন করে, আরসিইপি অঞ্চলে মোট জনসংখ্যা, মোট জিডিপি এবং পণ্য বাণিজ্য বিশ্বের মোটের প্রায় ৩০ শতাংশ। এটি আঞ্চলিক অর্থনীতিতে যা দিয়েছে, তা কোনোভাবেই শুধুমাত্র "ট্যাক্স রিলিফ" নয়। কোন বাজার এটি পুনরায় চালু করবে? এটা কি নতুন বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আসবে?

আরসিইপি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যকর রয়েছে, সদস্য দেশগুলির মধ্যে শুল্কের মাত্রা কমেছে এবং পণ্য বাণিজ্যের ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা কার্যকরভাবে অংশীদার দেশগুলিতে শিল্প চেইন, সরবরাহ চেইন, মূল্য চেইনের গভীর একীকরণ উন্নত করেছে। চীনের জন্য, এটি শুধুমাত্র রপ্তানি বাজারের বিকাশের জন্যই সহায়ক নয়, বরং সুবিধাজনক শিল্পগুলির "বাইরে যাওয়া" এবং বিশ্বব্যাপী বিন্যাসের জন্যও সহায়ক, যার ফলে একটি নতুন উন্নয়ন প্যাটার্ন তৈরিতে সহায়তা করেছে।

প্রকৃতপক্ষে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক, সরলীকৃত শুল্ক ছাড়পত্র এবং আরসিইপি দ্বারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুবিধায় উপকৃত হয়েছে।

 

বাণিজ্যনীতি অনুসারে আমদানিকারক পক্ষের শুল্ক হ্রাস বা শুল্কছাড় উপভোগ করার জন্য রপ্তানি পণ্যের মূল উত্স-সনদ (CERTIFICATE OF ORIGIN) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একে "সোনা সনদপত্র" বলা হয়।

চীনা কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, জাতীয় বাণিজ্য প্রচার ব্যবস্থা আরসিইপি’র অধীনে ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট অফ অরিজিন জারি করা হয়। যার আর্থিক পরিমাণ ৯.০৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এটি অনুমান করা যায় যে আরসিইপি সদস্য দেশগুলির আমদানিকারক দেশগুলিতে প্রায় ১৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চীনা পণ্যের জন্য শুল্ক হ্রাস বা ছাড় দেওয়া হবে।

বর্তমানে, আরসিইপি সদস্য দেশগুলির সঙ্গে চীনের বাণিজ্য দেশের সামগ্রিক বিদেশি বাণিজ্যের ৩০.৮ শতাংশ। ২০২০ সাল থেকে, আসিয়ান টানা তিন বছর ধরে চীনের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার হয়ে উঠেছে।

এখন আরসিইপি দেশগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য বিনিময় হচ্ছে। পাশাপাশি, এটি পরিপূরক সুবিধা এবং শ্রমের সুস্পষ্ট বিভাজন-সহ এই অঞ্চলে আরও সম্পূর্ণ শিল্প চেইন, সরবরাহ চেইন এবং মূল্য-শৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বেশ সহায়ক।

 

শুল্ক হ্রাস ও ছাড়, পণ্যের উত্স-সনদ, বাণিজ্য সুবিধা ইত্যাদি প্রাতিষ্ঠানিক লভ্যাংশ আরসিইপি সদস্য দেশগুলির জন্য বাস্তব প্রবৃদ্ধি ও সুবিধি এনেছে। আর এই প্রাণশক্তি বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চালিকাশক্তিতেও রূপান্তরিত হচ্ছে।

(জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই)