দেহঘড়ি পর্ব-৯৫
2022-11-11 15:43:24

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ও রোগ মুক্তি নিয়ে আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভুবনে বাস’ এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে পর্যালোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।

 

#ভালো_থাকার_আছে_উপায়

খাবারের মাধ্যমে দাঁতের যত্ন

দাঁত ভালো রাখার সঙ্গে খাবারের প্রসঙ্গটা চলেই আসে। মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন ক্যান্ডি, কোমল পানীয় ইত্যাদি দাঁতের ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। মুখের ভেতরকার স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেলে তা আমাদের দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখতে কাজ করে। পুষ্টিহীনতার কারণে দেখা দিতে পারে দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি ও মাড়ির সমস্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, দাঁত ও মাড়ির সমস্যার সঙ্গে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক,  কম ওজনের শিশুর জন্ম দেওয়ার মতো সমস্যার সম্পর্ক রয়েছে। দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খেতে পারেন কয়েকটি খাবার-

দই: দইয়ে আছে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যা দাঁত ভালো রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী খাবার। দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। কারণ উপকারী ব্যাকটেরিয়া দাঁতে ক্যাভিটি তৈরির জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে। সঠিক উপকারিতা পেতে চাইলে চিনি ছাড়া দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।

সবুজ শাক: যেকোনো স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায়ই সবুজ শাক থাকে। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। সেইসঙ্গে ক্যালোরি থাকে সামান্যই। সবুজ শাক খেলে তা দাঁত ভালো রাখতে কাজ করে। এতে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যা দাঁতের এনামেল তৈরিতে সাহায্য করে।

চিজ: এক গবেষণায় দেখা গেছে, চিজ খেলে তা মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দাঁতের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। চিজ চিবিয়ে খাওয়ার সময় এটি মুখের লালা বৃদ্ধি করে। এতে আরও থাকে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন। এই দুই পুষ্টি উপাদান দাঁত ভালো রাখতে কাজ করে।

আপেল: চিকিৎসকেরা মিষ্টি জাতীয় সব ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন আপেল খেতে মিষ্টি হলেও এতে আছে প্রচুর পানি ও ফাইবার। আপেল খেলে তা মুখের ভেতরে লালা সৃষ্টি করে যা ব্যাকটেরিয়া এবং জমে থাকা খাদ্যকণা দূর করে। এই ফলে থাকা ফাইবার মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে। আপেল খেলে তা আপনাকে দাঁত ব্রাশ করার মতো সুবিধা দিতে পারে না ঠিকই তবে এটি মুখের ভেতরটা সতেজ রাখতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি দাঁত ব্রাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

গাজর: আপেলের মতো গাজরও ফাইবার সমৃদ্ধ। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর কয়েক টুকরা কাঁচা গাজর খেলে তা মুখের ভেতরের লালা বৃদ্ধি করে, যা ক্যাভিটির ঝুঁকি কমায়। ফাইবারের পাশাপাশি এটি ভিটামিন এ- এরও একটি সমৃদ্ধ উৎস। সালাদে গাজর রাখতে পারেন কিংবা কয়েকটি ছোট গাজর চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। - অভি/রহমান

 

মানবদেহের নীরব ঘাতক ফ্যাটি লিভার

লিভার বা যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে সেটাকে ফ্যাটি লিভার বলে। এ সমস্যা শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভারকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। জানিয়ে দিচ্ছি ফ্যাটি লিভারের উপসর্গগুলো সম্পর্কে:

একটু একটু ব্যাথা, পেট ভারী লাগা

শুরুতে ফ্যাটি লিভারের তেমন কোনও উপসর্গ থাকে না। তবে লিভারে চর্বি বেশি পরিমাণে জমা হলে ধীরে ধীরে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। পেটের ডান দিকে উপরে যে অংশে ফ্যাটি লিভার থাকে, প্রথমদিকে সেখানে একটু একটু ব্যথা হয় ও পেট একটু ভারী ভারী লাগে।

লিভারে প্রদাহ

ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রথমে শুধু লিভারে চর্বি জমা থাকে। অন্য কোনও ইনজুরি হয় না। পরে বেশি চর্বি জমার ফলে লিভারে প্রদাহ শুরু হয়। লিভারে প্রদাহ হওয়ার মানে লিভার ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে। যেহেতু লিভার মানবদেহের পাওয়ার হাউস, তাই লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের এনার্জি কমে যায়, রোগী দুর্বল হয়ে অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠে, তার কর্মক্ষমতা কমে যায়, ক্ষুধামন্দা দেখা দেয় এবং ওজন হ্রাস পায়।

জন্ডিস

প্রদাহ হওয়ার পরের ধাপে লিভার আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শুরু করে এবং শরীরে জন্ডিস দেখা দেয়। বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে এক পর্যায়ে শরীর হলুদ হয়ে যায় এবং হাত-পায়ে পানি আসে। এ পর্যায়ে অনেক সময় রক্ত বমি হয়। রক্তবমি মানে লিভার সিরোসিসের লক্ষণ। এরপর লিভার যদি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রোগী সতর্ক না হন কিংবা চিকিৎসা না নেন, তখন লিভার ক্যানসার সৃষ্টি হতে পারে।

লিভার বড় হওয়া

ক্যানসার হয়ে গেলে লিভারে চাকা তৈরি হয়।েএর ফলে লিভার বড় হয়ে যায় এবং রোগীর আয়ু দ্রুত কমতে থাকে। কিছু রোগী চিকিৎসকের কাছে যান জটিলতা শুরু হলে, কিছু রোগী আসেন লিভার সিরোসিস হয়ে গেলে, আবার কিছু রোগী আসেন একেবারে লিভার ক্যানসার পর্যায়ে।

-অভি

#আপনার_ডাক্তার:  ডা. ফারিয়া আফসানা

দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি থাইরয়েডজনিত সমস্যা নিয়ে। আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে থাইরয়েডজনিত রোগের অবস্থান বিশ্বে ১ নম্বরে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতাংশ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগে। তাদের মতে, এ সমস্যায় বাংলাদেশে আক্রান্ত প্রায় ৫ কোটি মানুষ, যাদের মধ্যে ৩ কোটি মানুষেই জানে না তারা এ সমস্যায় আক্রান্ত। এ রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতাই মুখ্য। থাইরয়েডজনিত নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. ফারিয়া আফসানা।

 

 

 

#ভুলের_ভুবনে_বাস

সিজারিয়ান নিয়ে যত ভুল ধারণা

সিজারিয়ান সেকশন বা সি-সেকশন হলো এমন অস্ত্রোপচার পদ্ধতি যার মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় চিকিৎসকরা মায়ের পেট ও জরায়ু ছেদ করে গর্ভ থেকে সন্তানটিকে বের করে আনেন। স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা দেখা দিলে বা শিশু ও মায়ের জীবন সংশয় দেখা দিলে কেবল এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। প্রসবের এই প্রক্রিয়াটি আগে খুব কম ব্যবহার করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে অনেক নারী সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। তবে বাংলাদেশে এ পদ্ধতির অপব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ বহুদিনের। সি-সেকশন নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে মানুষের মধ্যে। চলুন আলোচনা করা যাক এমন কতগুলো ভুল ধারণা নিয়ে:

ভুল ধারণা: সি-সেকশনের পরে বুকের দুধ খাওয়ানো যায় না

প্রকৃত তথ্য: আপনি কী প্রক্রিয়ায় আপনার সন্তানের জন্ম দেবেন, তার সঙ্গে আপনার বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষমতার কোনও সম্পর্ক নেই। যে প্রক্রিয়াই সন্তানের জন্ম হোক না কেন, বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা একটু অসুবিধাজনক মনে হতে পারে। তাই এটা শুরু করতে এবং শিশুকে খাওয়ানোর জন্য একটি আরামদায়ক অবস্থান বেছে নেওয়ার জন্য নার্স বা অভিজ্ঞ কারোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

ভুল ধারণা: সন্তানের সঙ্গে স্পর্শে অসুবিধা হয়

প্রকৃত তথ্য: এটা প্রমাণিত যে প্রসবের পরে মা ও শিশুর মধ্যে ত্বকের স্পর্শ শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং তাপমাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। যদিও এটি সত্য যে সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পর এটি করতে আপনার অসুবিধা হতে পারে, তবে এটি অসম্ভব নয়। আপনাকে কেবল একটি নিখুঁত অবস্থান খুঁজে বের করতে হবে, যা নবজাতক ও আপনার উভয়ের জন্যই আরামদায়ক। আর যেটা আপনাকে করতে হবে তা হলো নবজাতককে অস্ত্রপচারের কাটা জায়গা থেকে একটু দূরে রাখা।

ভুল ধারণা: সি-সেকশনের পরে আর স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব না

প্রকৃত তথ্য: এটা একেবারে ভুল ধারণা; সি-সেকশন পরবর্তীতে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের কোনও বাধা না। আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টের মতে, ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মহিলা সি-সেকশনের পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে সক্ষম।

ভুল ধারণা: সি-সেকশন চলার সময় কিছুই অনুভূত হয় না

প্রকৃত তথ্য: যদিও চিকিৎকরা আপনাকে অ্যানেস্থেশিয়া বা চেতনানাশক দেবেন, যার কারণে আপনি ব্যথা অনুভব করবেন না, তবে আপনি আপনার পেটে কিছুটা টান এবং চাপ অনুভব করতে পারেন। এই কারণে অনেক মহিলা এ অস্ত্রপচারের সময় বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, তবে এটি বেশ স্বাভাবিক।

ভুল ধারণা: সি-সেকশন ঝামেলামুক্ত

প্রকৃত তথ্য: চিকিৎসকরা সাধারণত স্বাভাবিক প্রসবের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যখন স্বাভাবিক প্রসবে উচ্চমাত্রায় ঝুঁকি তৈরি হয় এবং প্রসূতি বা গর্ভের সন্তানের জীবন সংশয় দেখা দেয় তখন সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। যমজ সন্তান প্রসব, প্রসবের সময় জটিলতা, সংক্রমণ - এমন কিছু কারণে স্বাভাবিক প্রসবের বদলে সি-সেকশন করানো হয়। চিকিৎসরা মনে করেন, কারোরই অযথা সন্তান প্রসবের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত নয়; এটি কেবল জটিলতার ক্ষেত্রেই ভাল। - রহমান

 

#কী_খাবো_কী_খাবো_না

স্ট্রবেরির উপকারিতা অবাক করবে আপনাকে

বেশ অবাক হওয়ার মতো উপকারিতা ও গুণাগুণ আছে স্ট্রবেরির। এই ফলটি খেতেও  সুস্বাদু ও মজাদার। স্ট্রবেরি সুপরিচিত হলেও অনেকেই এর স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা জানেন না। আসুন জেনে নেই স্ট্রবেরির যত গুণ।

ওজন কমায়: স্ট্রবেরিতে রয়েছে ফ্যাট বার্নিং হরমোন যা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে, পেট ভরা রাখে, গ্লুকোজের পরিমাণ কমায় যা প্রত্যক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ কমায়: স্ট্রবেরিতে রয়েছে পটাশিয়াম যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

হার্ট সচল রাখে: স্ট্রবেরি হার্ট সচল রাখতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লেভোনয়েডস ও পলিফেনল। এতে থাকা উপাদানগুলো হার্টের ধমনি ভালো রাখে।স্ট্রবেরিতে থাকা উপাদান ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থেকে হার্টকে ভালো রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: স্ট্রবেরিতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। স্ট্রবেরিতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ প্রায় ৫১.৫ মিলিগ্রাম। প্রত্যেক দিন দুই কাপ স্ট্রবেরির জুস পান করলে শরীরে শতভাগ ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়।

ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: ভিটামিন সি ত্বককে ফ্রেশ রাখে। আর স্ট্রবেরিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং এটি বয়সের ছাপ কমাতেও দারুণ কার্যকর। স্ট্রবেরিতে থাকা ফলিক অ্যাসিড, বি৫, বি৬ চুলকে শক্ত ও মজবুত রাখে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: স্ট্রবেরিতে থাকা পুষ্টি উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে হলে রোজ স্ট্রবেরি খেতে পারেন।

হাড়ের মজবুত করে: স্ট্রবেরিতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম শিশুদের হাড় গঠনের জন্য উপকারী। এছাড়া এসব উপাদান হাড়কে শক্ত ও মজবুত রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: স্ট্রবেরি ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে স্ট্রবেরি। নিয়মিত স্ট্রবেরি খেলে ক্যান্সারের কোষ গঠন হতে পারে না।

 ‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।