তাইওয়ান ইস্যু ছাড়া চীনকে প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নতুন আইডিয়া আছে কি?-সিএমজি সম্পাদকীয়
2022-06-03 18:01:30

জুন ৩: মার্কিন উপ-বাণিজ্য প্রতিনিধি সারাহ বিয়াঞ্চি গত বৃহস্পতিবার চীনের তাইওয়ান প্রদেশের প্রতিনিধির সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেছেন এবং তথাকথিত ‘মার্কিন-তাইওয়ান ২১ শতকের বাণিজ্য উদ্যোগ’ চালু করেছেন। যা বাণিজ্যের অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের তাইওয়ান প্রদেশের তৈরি আরেকটি রাজনৈতিক প্রহসন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো তাইওয়ান ইস্যুর মাধ্যমে চীনকে প্রতিরোধ করা। যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণ চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ইশতাহারের লঙ্ঘন, যা চীন-মার্কিন সম্পর্ককে বিপদে ফেলবে। তাইওয়ান ইস্যু ছাড়া চীনকে প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নতুন আইডিয়া আছে কি? এমন প্রশ্ন করেছে সিএমজি সম্পাদকীয়।

 

চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ইশতাহার অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে যে, বিশ্বে শুধু একটি চীন আছে, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার হলো চীনের একমাত্র বৈধ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, শুধু তাইওয়ানের সঙ্গে সংস্কৃতি ও বাণিজ্যসহ বেসরকারি সম্পর্ক রাখবে। এতে বোঝা যায়, ‘একচীন নীতি’ হল চীনের তাইওয়ান প্রদেশ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার পূর্বশর্ত। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের আচরণ  নিঃসন্দেহে ‘স্বাধীন তাইওয়ানের দাবিদারদের’ ভুল ইঙ্গিত দিয়েছে। যা আবারও প্রমাণ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান ইস্যুতে ফের নিজের প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে।

 

তাইওয়ান ইস্যু চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। যা চীন-মার্কিন সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর ও কেন্দ্রীয় বিষয়। চীন স্পষ্টভাবে বলেছিল যে, তাইওয়ান সমস্যা ভালোভাবে মোকাবিলা না করলে চীন-মার্কিন সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই মেয়াদের মার্কিন সরকার বার বার ‘একচীন নীতি’ মেনে চলার কথা বলেছে; তবে বাস্তব আচরণ একদম ভিন্ন।

 

আসলে যুক্তরাষ্ট্র বার বার তাইওয়ান ইস্যুতে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে, এতে বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে, চীনকে প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো উপায় নেই। চীন নিশ্চয় একসঙ্গে থাকবে, যা প্রধান ঐতিহাসিক প্রবণতা। কোনো ব্যক্তি বা শক্তি তা প্রতিরোধ করতে পারে না।

 

(শুয়েই/তৌহিদ)