ঢাকা, মে ২৭: মরনোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’পদক পেয়েছেন কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী ২ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী। আত্মোৎসর্গকারী ২ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের একজন মেজর এ কে এম মাহমুদুল হাসান ও অন্যজন ল্যান্স কর্পোরাল মো. রবিউল মোল্লা। মেজর এ কে এম মাহমুদুল হাসান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত মিনুসকা মিশনে এবং ল্যান্স কর্পোরাল মো. রবিউল মোল্লা দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন। জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে রাবাব ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যেতে আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের মরনোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক প্রদান করা হয়। এবারের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী ৪২টি দেশের ১১৭ জন শান্তিরক্ষীকে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক প্রদান করা হয়। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেজ বাংলাদেশসহ ৪২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে স্ব স্ব দেশের পদক তুলে দেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮০২ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের ৯ টি মিশনে কর্তব্যরত রয়েছেন। দায়িত্বরত অবস্থায় এ পর্যন্ত জীবন উৎসর্গ করেছেন ১৬১ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী।
সাজিদ/ রহমান
সূত্র: বাসস
