মে ৬: জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি চাং চুন বলেছেন, ঠাণ্ডাযুদ্ধের পরও ন্যাটো তার পূর্বমুখী সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখে ও খোদ ইউরোপের জন্য নিরাপত্তা-হুমকি সৃষ্টি করে। ন্যাটো নিজেকে প্রতিরক্ষামূলক সংস্থা হিসেবে পরিচয় দিলেও, অতীতে এই জোট একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্রের ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। চীন ন্যাটোর এহেন মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের তীব্র বিরোধিতা করে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আন্তর্জাতিক সমাজকে ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১৯৯৯ সালের ৭ মে যুগোস্লাভিয়ায় চীনা দূতাবাসে বিমান-হামলা চালায় ন্যাটো। সে হামলায় ৩ জন চীনা সংবাদদাতা প্রাণ হারান এবং ২০ জনেরও বেশি চীনা কূটনীতিবিদ আহত হন। চীনা জনগণ কখনও এ হিংসাত্মক আচরণ ভুলে যাবে না এবং এ ধরনের কোনো ঘটনা কখনও মেনেও নেবে না।
চীনা প্রতিনিধি বলেন, ঠাণ্ডাযুদ্ধের অবসান ঘটায় ন্যাটোর উচিত সঠিকভাবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ন্যাটোর আক্রমণাত্মক আচরণ শুধু ইউরোপ, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্যই হুমকিস্বরূপ। চীন এ ধরনের আচরণের বিরোধিতা করে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তির স্বার্থে সকল দেশের উচিত জাতিসংঘ সনদ মেনে চলা, বাস্তবভাবে নিরাপত্তার শৃঙ্খলা অনুশীলন করা এবং টেকসই, কার্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ নিরাপত্তা-কাঠামো গড়ে তোলা। (সুবর্ণা/আলিম)