দেহঘড়ি পর্ব-৬২
2022-03-25 17:30:11

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচলিত ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভুবনে বাস’।

#প্রতিবেদন

ডায়াবেটিসের মূল কারণ আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা

 

বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত দুরারোগ্য ব্যাধি ডায়াবেটিস। সারা বিশ্বে বাড়ছে এর ব্যাপকতা। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের ৪৬ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বাংলাদেশে এ রোগীর সংখ্যা ৮৬ লাখেরও বেশি।

সম্প্রতি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার মধু এস মালো এবং জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এক দল গবেষক।

গবেষণার ফলাফল ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের শরীরে ইন্টেস্টিনাইল অ্যালকেলাইন ফসফেটাস-আইএপি কমে গেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ব্যাপক আকারে বাড়ে। আর তাই এটিই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।

গবেষকরা জানান, দেশে ১৫ শতাংশ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে জেনেটিক কারণে। যেগুলো প্রতিরোধে কিছুই করার নেই। তবে, বাকি ৮৫ শতাংশই আইএপি সংক্রান্ত কারণে হয়ে থাকে।

ড. মধু বলেন, বলা হয়ে থাকে মোটা হলেই ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। কিন্তু ডায়াবেটিসের সঙ্গে মোটা হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যাদের অন্ত্রে এ এনজাইমটি কম ছিল এবং পরে বেড়েছে তাদের ডায়াবেটিস হয়নি। এনজাইমটি যাদের অন্ত্রে কম ছিল তাদের ফাস্টিং সুগার বৃদ্ধির মাত্রা প্রায় দ্বিগুণ। এনজাইমের মাত্রা বেশি হলে স্থুল ব্যক্তিদেরও ডায়াবেটিস হয় না।

গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, যাদের দেহে এ এনজাইমের পরিমাণ কম তাদেরকে এনজাইম খাওয়ানো সম্ভব হলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। বর্তমানে গবেষকরা এনজাইমটি তৈরির চেষ্টা করছেন। - অভি/রহমান

 

#বুলেটিন

হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ: রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি আট হাজারেরও বেশি মানুষ রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দৈনিক ১২-১৩শ ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে আসছে, যাদের অধিকাংশকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বছরে দুই বার শীত ও গরমের সময়ে বাড়ে। এ সময় দৈনিক গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ রোগী থাকলেও সর্বোচ্চ এক হাজারের মতো হয়। কিন্তু এবার এটা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

এক-তৃতীয়াংশ রোগীই ফুসফুস রোগে আক্রান্ত

বাংলাদেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রোগী ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে শুধু অ্যাজমা রোগেই ভুগছে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। সম্প্রতি চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মির্জা মোহাম্মদ হিরন বলেন, বায়ু দূষণের কারণে প্রথমে আক্রান্ত হয় ফুসফুস ও শ্বাসনালী। অব্যাহত বায়ু দূষণে অ্যাজমা, অ্যালার্জি, শ্বাসনালী ও ফুসফুসে নিউমোনিয়া সংক্রমণ ও ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার রোগও বেড়েই চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিবেশ দূষণ, জীবনযাত্রা প্রণালী, খাদ্যাভাব ইত্যাদির কারণে বক্ষব্যাধি ও হৃদরোগ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে।

ডেন্টালে সাড়ে ৬শ নতুন পদ, শিগগিরই নিয়োগ

বাংলাদেশে ডেন্টাল চিকিৎসকের সংকট রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেন্টাল চিকিৎসকদের জন্য ৬৫০টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়াও রাজশাহী ও চট্টগ্রামে দুটি ডেন্টাল ইউনিটকে ডেন্টাল কলেজে উন্নীত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, তামাক ও পান-সুপারির কারণে দাঁতে নানা রোগ হয়, ক্যান্সার হয়। মুখ ও গলার ক্যান্সার তামাকের কারণে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ডেন্টাল চিকিৎসকরা ভূমিকা রাখতে পারেন। - অভি/রহমান

 

## আপনার ডাক্তার

এ পর্বে আজ আমরা আলোচনা করেছি যক্ষা রোগ নিয়ে। বাংলাদেশে যক্ষ্মা এখনও একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। ‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই’- এমন কথা সমাজে প্রচলিত ছিল এক সময়। যক্ষ্মার জন্য কার্যকর কোনো ওষুধ ছিল না সে সময়। তাই যক্ষ্মা হলে মৃত্যু ছিল অনিবার্য । বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯৬ লাখ মানুষ সক্রিয় যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়; যাদের মধ্যে ১৫ লাখই মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৩ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে ৭০ হাজার রোগী মারা যায়।

মাইকোব্যাকটেরিয়াল টিউবারকিউলোসিস নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে যক্ষ্মা হয়। এটি সংক্রামক ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং যে কেউ, যে কোনও বয়সে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে যক্ষ্মা রোগীর কাছাকাছি থাকে এমন ব্যক্তি, যেমন পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, নার্স বা সেবাদানকারীর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, মাদকাসক্তি, বার্ধক্য, অপুষ্টি ইত্যাদি যক্ষ্মার ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। যাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম, যেমন এইডস রোগী, দীর্ঘ মেয়াদে স্টেরয়েড বা ইমিউনোথেরাপি ওষুধসেবীরাও যক্ষ্মার ঝুঁকিতে থাকে। শতকরা ৮৫ ভাগ যক্ষাই ফুসফুসে হয়। তবে যক্ষ্মা হয় না, শরীরে এরকম অঙ্গ খুব কমই আছে। ফুসফুসের আবরণী, লসিকাগ্রন্থি, যকৃত, মস্তিষ্ক ও এর আবরণী, অন্ত্র, হাড় এমনকি ত্বকেও হতে পারে যক্ষ্মা। যক্ষা রোগের নানা দিক নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন ডাক্তার একেএম ফাহমিদ  নোমান। তিনি কর্মরত ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ হিসাবে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুর রহমান অভি।

 

#ভুলের_ভুবনে_বাস

স্ট্রোক মানেই হার্টের সমস্যা নয়

স্ট্রোক বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার ১১ শতাংশই মারা যায় স্ট্রোকে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুসারে, ওই দেশটিতে প্রতি বছর ৭ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ স্ট্রোকের শিকার হয়, যাদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ১০ হাজার জন প্রথমবারের মতো স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়।

স্ট্রোক প্রধানত ৩ ধরনের। এর মধ্যে প্রথম ও সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো ইস্কেমিক স্ট্রোক। প্রতি ১০০ স্ট্রোকের ঘটনার মধ্যে ৮৭টিই ইস্কেমিক স্ট্রোক। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহকারী ধমনী দিয়ে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয়টি হলো হেমোরেজিক স্ট্রোক, যা মস্তিষ্কের একটি ধমনী ফেটে যাওয়ার কারণে ঘটে এবং যার ফলে পার্শ্ববর্তী টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তৃতীয় ধরনের স্ট্রোক হলো একটি ক্ষণস্থায়ী ইস্কেমিক আক্রমণ (টিআইএ), যাকে কখনও কখনও ‘মিনিস্ট্রোক’ বলা হয়। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ সাময়িকভাবে অর্থাৎ ৫ মিনিটের কম সময় বন্ধ থাকে। স্ট্রোক সাধারণ ঘটনা হলেও এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা। আজ আমরা আলোচনা করবো এমন কতগুলো ভুল ধারণা নিয়ে।

স্ট্রোক মানেই কি হার্টের সমস্যা?

যদিও স্ট্রোকের ঝুঁকি কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণগুলোর সঙ্গে যুক্ত। তবে স্ট্রোক মস্তিষ্কে ঘটে, হৃদয়ে নয়। যুক্তরাষ্ট্রের লেনোক্স হিল হাসপাতালের নিউরো এন্ডোভাস্কুলার সার্জারি ও ইন্টারভেনশনাল নিউরো-রেডিওলোজি বিভাগের প্রধান ডাক্তার র‌্যাফেল আলেক্সান্ডার অরটিজ বলছেন, "কিছু লোক মনে করে যে, স্ট্রোক হৃৎপিণ্ডের সমস্যা। সেটা ভুল। স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের সমস্যা, যা মস্তিষ্কের ধমনী বা শিরাগুলোর ব্লকেজ বা ফেটে যাওয়ার কারণে হয়।" কিছু মানুষ স্ট্রোককে হার্ট অ্যাটাকের সাথে গুলিয়ে ফেলে। হার্ট অ্যাটাক আসলে মস্তিষ্কে নয়, হার্টে রক্ত প্রবাহে বাধার কারণে ঘটে।

স্ট্রোক কি প্রতিরোধ করা যায়?

ডাক্তার অরটিজ বলছেন, স্ট্রোকের ঝুঁকির ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, মাথা বা ঘাড়ে আঘাত এবং কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস। জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ফ্যাক্টরগুলো কমানো যায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের মতো ঝুঁকির ফ্যাক্টরগুলো কমতে পারে। অন্যান্য ঝুঁকির ফ্যাক্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যালকোহল গ্রহণ ও মানসিক চাপ। এই ফ্যাক্টরগুলো কমানো বা দূর করার মাধ্যমেও একজন ব্যক্তির স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে।

পরিবারিক কারণে কি স্ট্রোক হয়?

‘সিকেল সেল’ রোগের মতো একক-জিন ব্যাধি মানুষের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপের উচ্চ ঝুঁকি এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণসহ জেনেটিক ফ্যাক্টরগুলো পরোক্ষভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেহেতু একটি পরিবারের মানুষেরা সাধারণত একই পরিবেশ বাস করে এবং তারা একই রকমের জীবনধারায় অভ্যস্ত, তাই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার ফ্যাক্টরগুলো পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে সেগুলো যখন জেনেটিক ঝুঁকির ফ্যাক্টরগুলোর সাথে মিলিত হয়।

স্ট্রোকের কি চিকিৎসা সম্ভব

ডাক্তার অরটিজ বলেন, একটি ভুল বিশ্বাস রয়েছে যে, স্ট্রোকের চিকিৎসা করা যায় না। তবে ক্লট বাস্টিং অর্থাৎ রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধকারী ইনজেকশন দিয়ে স্ট্রোকের জরুরি চিকিৎসা, জমান রক্ত অপসারণের জন্য যান্ত্রিক থ্রম্বেক্টমি কিংবা সার্জারির মাধ্যমে অনেক রোগীর স্ট্রোকের ক্ষতি দূর করা যায়, বিশেষ করে যদি চিকিৎসার জন্য খুব তাড়াতাড়ি অর্থাৎ উপসর্গ শুরু হওয়ার দুই-এক ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছানো যায়।

ডাক্তার অরটিজের মতে, রোগীকে হাসপাতালে নিতে যত দেরি হবে, ভাল ফলাফলের সম্ভাবনা তত কমে যাবে। তাই কথা বলার সমস্যা, সবকিছু দুটো করে দেখা, পক্ষাঘাত বা অসাড়তার মতো স্ট্রোকের লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হবে। গবেষণা দেখা যায়, যারা প্রথম লক্ষণগুলো অনুভব করার ৩ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছায়, তারা তুলনামূলক কম অক্ষমতার শিকার হয়।

স্ট্রোক কি কেবল বয়স্কদের সমস্যা?

বয়স স্ট্রোকের একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির ফ্যাক্টর। ৫৫ বছর বয়সের পর প্রতি ১০ বছরে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়। তবে যে কোনও বয়সে স্ট্রোক হতে পারে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যত রোগী স্ট্রোকের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, তাদের ৩৪ শতাংশের বয়স ছিল ৬৫ বছরের কম। আরেক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইস্কেমিক স্ট্রোকে যারা আক্রান্ত হয়, তাদের প্রায় ১৫ শতাংশই তরুণ ও কিশোর-কিশোরী। গবেষকরা উল্লেখ করেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, লিপিড ডিসঅর্ডার এবং তামাক ব্যবহারসহ স্ট্রোকের ঝুঁকির ফ্যাক্টরগুলো এই কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। - রহমান

 

 ‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।