টু: আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি এই কথা শুনে উ তিয়েন চোং ও সিয়া ইউ ফোং গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। অবাক করার বিষয় হলো উ তিয়েন চোং একদম সঠিকভাবে আমাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজধানী হলো ঢাকা।
আসলে এখনও অনেক চীনার কাছেই 'বাংলাদেশ' এই নামটি তেমন সুপরিচিত নয়। বেশিরভাগ চীনাই বাংলাদেশকে 'মাংজালা' নামে চেনেন। কারণ চীনা ভাষায় মাংজালা মানে বাংলাদেশ। তাদের সাথে কথা বলে আমি ভীষণ মুগ্ধ হয়ে পড়ি। আমি তাদের দু'জনকে একটি বাংলা গান গেয়ে শুনাই। আর আমার সহকর্মী লাবণ্য তা চীনা ভাষায় তাদের কাছে অনুবাদ করেন।
লি: টুটুলের গান শুনে উ তিয়েন চোং ও সিয়া ইউ ফোং দারুণ খুশি হন। তারা আমাকে জানান,
'গানের কথা আমরা বুঝতে না পারলেও তার কণ্ঠ খুবই সুন্দর।আমরা তার গাওয়া গান অনেক পছন্দ করেছি'।
টু: তখন দুপুর একটা, সিনমু সিনেমা হলে অনেক লোকের ভিড়। অন্ধ মানুষ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা একসাথে কথা বলছেন, আড্ডা মারছেন, বর্তমানের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে গল্প করছেন। তাদের হাসিমাখা মুখ দেখে এবং তাদের প্রাণবন্ত কণ্ঠ শুনে আমি সত্যিই অভিভূত হয়ে পড়ি।
আমি তখন লাবণ্যকে বলি, 'চীনে অনেক মানুষ স্বেচ্ছাসেবীমূলক কাজের সাথে যুক্ত, বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমিও তাদের এ কাজের একজন সদস্য হতে চাই। তাই আমাকে যেভাবেই হোক চীনা ভাষা শিখতে হবে, যাতে আমি কিছু কাজ করতে পারি'।
লি: সিনমু সিনেমা হলের প্রতিষ্ঠাতা মি. ওয়াং উই লি বলেন, বর্তমানে সারা দেশে ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি অন্ধ মানুষ রয়েছেন। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে চীনের বিভিন্ন জায়গায় সিনমু সিনেমা হল প্রতিষ্ঠিত হবে এবং আরো বেশি স্বেচ্ছাসেবক সিনমু সিনেমা হলে এসে অন্ধ মানুষদের কাছে চলচ্চিত্র বর্ণনা করবেন। তিনি বলেন,
টু: 'সিনমু সিনেমা হলের মাধ্যমে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাই। স্বেচ্ছাসেবক এবং অন্ধ মানুষ একে অপরের সাহায্যকারী বলে আমি মনে করি। স্বেচ্ছাসেবকরা অন্ধ মানুষদের সাহায্য করেন এবং এই সাহায্য করার প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছাসেবকরাও অনেক আনন্দ লাভ করতে পারেন'। (লাবণ্য/টুটুল)